পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখরিত উকড়ি বিল
বিশাল জলরাশির মাঝে ফুটে আছে শাপলা, শালুক ও পদ্ম। আর এই সৌন্দর্যের মাঝে মাছ শিকারে ব্যস্ত পানকৌড়ি, ছোট স্বরালী, সারশ, গাঙচিল, বক, রাঙা ময়ূরীসহ একদল পরিযায়ী পাখি। যেন নতুন রূপের সেজেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার উকড়ি বিল।
-
কখনো জলকেলি আবার কখনো ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য। ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি চলতে থাকে পাখিদের এমন দুষ্টুমিতে মেতে থাকা। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
প্রতিবছর শীত এলেই মেরু অঞ্চল থেকে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ভিনদেশি এই পাখিরা আসে বাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলতে। বিনিময়ে তারা একটু খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের গ্রহণ করে। আর শীত কমলেই ফিরে যায় নিজ দেশে। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম উকড়ি বিল। নির্বিঘ্নে থাকা ও যথেষ্ট খাবার পাওয়ায় অনেক পাখি গ্রীষ্মকালেও বিলে থেকে যায়। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
পাখি শিকারিদের কোনো উৎপাত না থাকায় গাঙচিল, কাঁদাখোঁচা, ডংকুর, সড়াইল, কাইয়ুমসহ নাম না জানা পাখি গড়ে তুলেছে তাদের আবাস্থল। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
বর্তমানে পাখিগুলো সন্ধ্যা হলেই পদ্মপতার আড়ালে ও আশপাশের বড় গাছের ডালে আশ্রয় নিচ্ছে আর সকাল হলেই ফিরে আসছে বিলে। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
উকড়ি বিলের আয়তন প্রায় ২২৫ একর। এখানে ভ্রমণে আসলে দেখতে পাবেন ২০-২৫ প্রজাতির পাখি। তাদের কলকাকলিতে পুরো দিন মুখর থাকে পুরো বিল। চারদিকে বিস্তীর্ণ জলরাশির বুকে রংবেরঙের পাখির একেক রকম ডাক মন কেড়েছে পাখি ও প্রকৃতি প্রেমীদের। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়
-
হাজার হাজার পাখি যখন কিচির-মিচির করে তখনই সৃষ্টি হয় নান্দনিক আবহ। তাই স্থানীয় বাদেও প্রতিদিন উকড়ি বিলে ভিড় করছেন অনেক ভ্রমণপ্রেমী। বিলটি ঘুরে দেখার জন্য আছে নৌকার ব্যবস্থা। যা দিয়ে খুব সহজেই বিলের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে আসা যায়। বিলে পাখি দেখতে আসা মানুষরা যেমন খুশি, তার চেয়ে বেশি খুশি গ্রামবাসী। ছবি: মামুনূর রহমান হৃদয়