শখের বাড়ি যখন পর্যটন কেন্দ্র
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা যেন এক পর্যটন কেন্দ্র। ৪৮২.৮৯ বর্গ কিলোমিটারের এ উপজেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ফেনী নদী, মুহুরী নদী, সন্দ্বীপ চ্যানেল, ইছাখালী, মহামায়া, ডোমখালি, হিঙ্গুলী ও মায়ানী খাল।
-
এছাড়া আছে মহামায়া লেক ও সেচ প্রকল্প, উপকূলীয় বনাঞ্চল, মুহুরী সেচ প্রকল্প, করেরহাট বনাঞ্চল, বাওয়াছড়া সেচ প্রকল্প, খৈয়াছড়া ঝর্ণা, ধুমের শিলা পাথর (শান্তিরহাট), ছুটি খাঁ মসজিদ, পরাগল খাঁ দীঘি, নয়দুয়ারী মসজিদ, জগন্নাথ ধাম (আবু তোরাব), কালীমন্দির (করেরহাট), শান্তিনিকেতন বিহার, অভয়শরণ বিহার, মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
শুধু তাই নয়, বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে শখের বসে নির্মাণ করা একটি বাড়ি। বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়কের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে করেরহাট ইউনিয়নের কয়লায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ি জনপদে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িটি। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
শুধু শৈল্পিক বাড়ি নয়, আশপাশের সবুজ শ্যামল দৃশ্য, ফল-ফুলের বাগান আর পাখ-পাখালির কিচির মিচির শব্দ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। কারো মন খারাপ থাকলে এখানে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
ওই এলাকার বাসিন্দা কানাডা প্রবাসী ও ব্যবসায়ী আফছার হোসেন চৌধুরী ২০০ শতক জায়গার উপর শখের বসে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। প্রতিনিয়তই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে বাড়িটিকে দেখতে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
পাহাড়ি জনপদে নান্দনিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই বাড়ির নির্মানের পাশাপাশি শখের বসে পালন করছেন টার্কি মুরগিও। যা ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মনকে আকৃষ্ট করে তোলে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
মুরগিগুলো পালন করার জন্য বাড়ির ভেতর বিভিন্ন আকৃতির ঘর ও খাঁচা তৈরি করেন। মাঝেমধ্যে টার্কিগুলো বিকট শব্দে ডেকে উঠছে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
পুরুষ টার্কিগুলোর ঠোঁটের নিচে লাল রঙের লম্বা শূরের মতো ঝুলে আছে। পুরুষ টার্কিগুলো মাঝে মধ্যে পেখম মেলে স্ত্রী টার্কিগুলোর সঙ্গে খুনসুঁটিতে মেতে উঠছে। শুধু টার্কি মুরগী নয়, হাঁস ও ছাগলের খামারও আছে তার বাড়ির আঙিনায়। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
বাড়ির চারপাশে কমলা গাছ, পেয়ারা গাছ, কলা, কাঁঠাল, আম, জাম, পেঁপে, বেল, স্ট্রবেরি, জাম্বুরা, আমলকি, জলপাই, ডালিম, আঁতাপল, লেবু, কাগজিসহ শতাধিক প্রজাতির ফলের চারা লাগানো হয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন এ বাড়িতে আছে প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রজাতির ফুল গাছ। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
এর মধ্যে গাঁদা, গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কারনেশন, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, পিটুনিয়া, ভারবেনা, ক্যামেলিয়া, স্যালভিয়া, জারবেরা, এজালিয়া, কাঞ্চন (সাদা), জবা, কামিনী, অলকানন্দা বা অ্যালামন্ডা, জয়তী বা জ্যাট্রোফা, হাজারপুটিয়া, নয়নতারাসহ অর্ধ শতাধিক প্রজাতির ফুলের চারা লাগান। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
পাশাপাশি বাড়ির ভেতরে শখের বসে একটি সবজি বাগান করেছেন। এখানে শিম, ঢেঁড়স, আঁকড়ি, ধনিয়াপাতা, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, কাঁচা মরিচ, শসা ইত্যাদি। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে ৩টি পুকুর খনন করে হাঁস পালনের ঘর ও এগুলোর মধ্যে কই, মাগুর, শিং, রুই, পাবদা, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া, শোলমাছ, কার্পসহ অনেক প্রজাতির মাছ চাষ করা হচ্ছে। আছে দুই শতাধিক হাঁস পালনের খামার, ছাগলের খামার ও গরুর ফার্ম। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
বাড়িটিতে সব শ্রেণিপেশার মানুষের প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা হয়েছে। যাতে মানুষ এখানে এসে কোলাহলময় জীবনে প্রবেশ করে সস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন