সোনাইছড়া লেকের পাড়ে জমে আসর
সোনাইছড়া লেক চট্টগ্রামের পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাখিদের অবিরাম কলকাকলীতে মুখরিত এ লেকটি হয়ে উঠেছে পর্যটকদের গন্তব্য। মিরসরাইয় উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব পোলমোগরা গ্রামে এ লেকের অবস্থান।
-
কোলাহলমুক্ত এ লেকের পাড়ে এখন প্রতিদিনই জমে আসর। কেউ আসে পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার কেউ আসে বন্ধুদের নিয়ে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
বিকেলে সেখানে গিয়ে তাবু টাঙিয়ে ক্যাম্পিং করছেন পর্যটকরা। সারারাত সেখানে কাটিয়ে ফিরছেন পরেরদিন। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
খোশগল্প, হৈ-হুল্লড়, গান আর বারবিকিউ পার্টি করে আনন্দ করছেন তরুণরা। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে দিনের বেলায় সেখানে ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু মানুষ। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
জানা গেছে, খৈয়াছড়া ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢল নিয়ন্ত্রণ করে শুকনো মৌসুমের পানি ধরে রাখার জন্য তৈরি করা হয় এ কৃত্রিম লেকের। বারোমাসি পাহাড়ি ছড়ায় বাঁধ দিয়ে জমে থাকা পানি ব্যবহার হয় আশপাশের তিন গ্রামের ৮০ হেক্টর জমির কৃষিকাজে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
২০০৬ সালে স্থানীয় কৃষকরা এ বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করেন। পরে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রাকার সেচ প্রকল্পের আওতায় সোনাইছড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধ ও স্লুইসগেট তৈরি করে ১২ একর আয়তনের এ জলাশয় তৈরি করে। বর্ষায় বৃষ্টির আর শুকনো মৌসুমে ছড়ার পানিতে ভরা থাকে লেকটি। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
সোনাইছড়া লেকে ঘুরতে আসা পর্যটক ফখরুল হাসান ও এনামুল হক বলেন, পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সোনাইছড়া লেকের নাম এখনো অনেকে শুনেনি। কিন্তু ছোট এ লেকের সৌন্দর্য অতুলনীয়। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
পাহাড়, ঝরনা, ঘন সবুজ বন, লেকের স্বচ্ছ পানি, নানা জাতের পাখির উড়ে বেড়ানো সব মিলে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা এটি। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
এক কিলোমিটার হাঁটা রাস্তার কিছু পথ মাড়িয়ে এলেও লেকের চোখজুড়ানো দৃশ্য দেখে সে কষ্ট উড়ে গেছে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
সোনাইছড়া লেকে ক্যাম্পসাইডে একসঙ্গে পাবেন পাহাড়, লেক ও ঝরনা। একই সঙ্গে দেখা মিলবে হরিণ,বানর,শুকর ও বনবিড়ালের ইত্যাদি। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
ক্যাম্প সাইডে আর্টিফিশিয়াল কোনো কিছুই নেই, এখানে সত্যিকার অর্থে প্রকৃতির মাঝে থাকার পরিবেশ পান পর্যটকরা। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
এখানে একটি গ্রুপ ক্যাম্পিং এর ব্যবস্থা করেন। জনপ্রতি প্যাকেজ ৯৯৯ টাকা। প্যাকেজে যা যা থাকছে- সকালের নাশতায়- ডিম-খিঁচুড়ি, পানি ও চা। সন্ধ্যার নাশতায় থাকবে নুডুলস ও চা-বিস্কুট। রাতের খাবারে ভাত, মুরগির ঝাল ফ্রাই, ডাল, ভর্তা ও কোলড্রিংস। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
আর ঘুমানোর জন্য তাবু-মেট, বালিশ, স্লিপিং ব্যাগ। (এক তাবুতে দুজন করে, বড় তাবুতে ৩জন)। একই সঙ্গে এই প্যাকেজের মধ্যেই থাকছে লেকের প্রবেশ ফি। আছে নামাজের ব্যবস্থাও। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
ক্যাম্পিংয়ে মাদকদ্রব্য বহন বা সেবন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। প্রত্যেক ক্যাম্পার তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বহন করবে। উচ্চস্বরে চিৎকার বা বড় সাউন্ড বক্সে গান বাজানো যাবে না। যেহেতু এটি প্রাকৃতিক একটি ক্যাম্পসাইড সেহেতু প্রকৃতির ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
সোনাইছড়া লেকে যেতে হলে দেশের যে কোনো স্থান থেকে বাসে এসে প্রথমে নামতে হবে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজার। সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে হবে দেড় কিলোমিটার দূরে বড়তাকিয়া রেলস্টেশন। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
স্টেশন থেকে হাঁটা পথে এক কিলোমিটার সমতল গ্রামীণ পথ ও পাহাড়ি ছড়া পার হলেই চোখে পড়বে সোনাইছড়া লেকের মনোরম দৃশ্য। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন