ইউটিউবে ভিডিও দেখে মাল্টা চাষে সফল রুবেল
আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাল্টা চাষ করে তাক লাগিয়েছেন রুবেল আলী (২৯) নামে এক যুবক। ২৬ বিঘা জমিতে বারি-১ জাতের চার হাজার মাল্টা গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এ বছর প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা তার।
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি গ্রামের বাসিন্দা রুবেল আলী। তিনি নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের ব্যালক্যাপাড়ায় ২৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন মাল্টা বাগান। এখন তার বাগানে সারি সারি মাল্টা গাছ। থোকায় থোকায় ঝুলছে গাঢ় সবুজ ও হলুদ রঙের মাল্টা। গাছগুলো মাটিতে নুইয়ে পড়েছে মাল্টার ভরে। ছবি: সোহান মাহমুদ
-
রুবেল আলী বলেন, একদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলাম। হঠাৎ একটি মাল্টা বাগানের ভিডিও সামনে আসে। সেদিনই সিদ্ধান্ত নেই মাল্টা বাগান করবো। প্রথমে তিন হাজার গাছ রোপণ করলাম। পরে দেখি ভালো ফলন হচ্ছে। তাই আরও এক হাজার গাছ কিনে আনি। এখন ২৬ বিঘা জমিতে প্রায় চার হাজার মাল্টা গাছ আছে। আশা করছি মাল্টা বিক্রি করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা পাবো। ছবি: সোহান মাহমুদ
-
২০২০ সালে শুরু করেছি। এই বারি-১ জাতের মাল্টা বাগানে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তবে গত বছর মাল্টা বিক্রি করেই সব খরচ উঠে গেছে। এবার বাগানের পরিচর্যায় খরচ করেছি ১২-১৫ লাখ টাকা। এখন ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আমার বাগানের মাল্টা। ছবি: সোহান মাহমুদ
-
মাল্টা বাগানে প্রায় ২০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার মধ্যে একজন হলেন তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রুবেল ভাইয়ের বাগানে আমি প্রতিদিন কাজ করি। এতে আমাকে দিনে ৪০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আর এ দিয়েই চলে আমার সংসার। ছবি: সোহান মাহমুদ
-
শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে মাল্টা বাগান দেখতে এসেছেন উদ্যোক্তা ইসমাইল খান শামীম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মাল্টা বাগান দেখে মুগ্ধ হলাম। সত্যি যেমন দেখতে অসাধারণ। ফলটি খেতেও খুব সুস্বাদু। আমি মনে করতাম, অন্য দেশের মতো হয়তো আমাদের দেশের মাল্টা মিষ্টি হয় না। কিন্তু এখানে এসে মাল্টা খেয়ে ধারণা পরিবর্তন হয়েছে। ছবি: সোহান মাহমুদ
-
নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালেহ আকরাম বলেন, রুবেল আলীর মাল্টা বাগান পরিদর্শন করেছি। তিনি খুব সুন্দর করে মাল্টা বাগান তৈরি করেছেন। এছাড়া রুবেলের বাগানের মাল্টাও অনেক মিষ্টি। আমরা পরামর্শ দিয়ে রুবেলের পাশে আছি। ছবি: সোহান মাহমুদ