দেখুন ৮০ রকম মরুর গোলাপ
শখ এখন পেশা। ফুল-ফল চাষ করেই স্বাবলম্বী ইসমাইল খান শামীম নামের এক উদ্যোক্তা। আম বাগানের পাশাপাশি নিজ বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন মরুভূমির ফুল অ্যাডেনিয়াম বা ডেজার্ট রোজের বাগান। এখন সেই বাগানে আছে ৮০ রকমের অ্যাডেনিয়াম বা মরুর গোলাপ।
-
ইসমাইল খান শামীম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাইলিং মোড় এলাকার খানপাড়ার বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকে তার পছন্দ গাছপালা। আর সেই পছন্দের জায়গা থেকেই তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ
-
জানা যায়, ১৭৫২ সালে প্রথম কেনিয়ায় এই ফুল গাছের খোঁজ পাওয়া যায়। ফুলটি প্রধানত মরুভূমি অঞ্চলে দেখা যায়। তবে বর্তমানে পৃথিবীর সব জায়গায় এ ফুলের দেখা মেলে। অ্যাডেনিয়াম বা ডেজার্ট রোজকে বলা যেতে পারে ‘মরুর গোলাপ’। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ
-
ইসমাইল খান শামীম বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমি থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কিছু স্থানে অ্যাডেনিয়াম বা মরুর গোলাপ দেখে মুগ্ধ হই। তাদের কাছে জানতেও চাই, এই মরুর গোলাপ কি বাংলাদেশে চাষ করা সম্ভব? তারা বলেন, এটি শুধু মরুভূমির ফুল হওয়ায় বাসায় চাষ করে সফল হওয়া সম্ভব নয়। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ
-
কিছুদিন পর বাংলাদেশে এসে খোঁজ নিলাম এই মরুর গোলাপের। বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিলাম। পরে একজন আমার পোস্টে সাড়া দিয়ে মরুর গোলাপের চারা দিতে চাইলেন। তার কাছ থেকে মূলত মরুর গোলাপের চারা নিয়ে ২০১৯ সালে চাষ শুরু করি। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ
-
এখন আমার ছাদ বাগানে প্রায় ৮০ রকমের অ্যাডেনিয়াম ফুলের গাছ আছে। আমার কিছু কিছু গাছ আছে, যা এখন বিক্রি হবে ১০ হাজার টাকার বেশি দামে। কিন্তু আমি চারা কিনেছিলাম মাত্র ৩০০-১৫০০ টাকায়। তাই আমার মনে হয়, এই মরুর গোলাপ বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা সম্ভব। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ
-
আমার গাছগুলোয় লাল, মেরুন, গোলাপি, ঘিয়ে, সাদা, হলদে, নীলাভ, কালোসহ ৮০ রকমের ফুল ফোটে। যা দেখতে আসেন দূর-দূরান্তের মানুষ। এতে আমার খুব ভালো লাগে। আগামীতে ইচ্ছা আছে বাণিজ্যিকভাবে মরুর গোলাপ চাষ করার। ফুলটি মরুভূমির উদ্ভিদ। এটি ভার্মি কম্পোস্ট, হাঁড়ের গুঁড়া, বেলে দোআঁশ মাটি দিয়ে টবে লাগাতে হয়। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ
-
মনিরুল ইসলাম নামের এক প্রতিবেশী বলেন, আমি অনেকবার শুনেছি শামীম ভাইয়ের ছাদে অনেক সুন্দর ফুলের গাছ আছে। তাই দেখতে এসেছি। দেখে মন ভরে গেল। এত সুন্দর ফুলের গাছ এর আগে আমি কখনো দেখিনি। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ
-
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় অ্যাডেনিয়ামের চাষ অনেক কম। এটি মূলত মরুভূমিতে হয়ে থাকে। তবে এখন বাণিজ্যিকভাবেও অনেক স্থানে চাষ হচ্ছে। এ উপজেলায় সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি। আগামীতে এই মরুর গোলাপ যদি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। তবে অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ছবি ও লেখা: সোহান মাহমুদ