যে কারণে রংধনুর মতো এই পাহাড়ের রং
প্রকৃতির রহস্যের কোনো শেষ নেই। সৃষ্টির শুরু থেকে এইসব রহস্য উন্মোচনের পেছনে রয়েছে মানুষ। এমনই এক অপরূপ রহস্যময় বিভিন্ন রঙের পাহাড় রয়েছে চীনে।
-
বৃষ্টি ভেজা মিষ্টি সকালে দূর আকাশে দেখা দেয় রংধনু। কিন্তু রংধনুর সাত রং নীল আকাশের ক্যানভাসেই সীমাবদ্ধ নয়, এই রঙের বিস্ময়কর পাহাড়ও রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
-
রংধনুর সাত রঙে রঙিন এক আশ্চর্য পাহাড় রয়েছে চিনের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে গানসু প্রদেশের অন্তর্গত জাংহে শহরে। এই পাহাড় ‘দাংশা ল্যান্ডফর্ম জিওগ্রাফিক্যাল পার্ক’-এর অন্তর্গত। ছবি: সংগৃহীত
-
পাহাড় বলতেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে রুক্ষ শুষ্ক ধূসর ভূখণ্ড অথবা বরফে ঢাকা শ্বেত শৃঙ্গ। কিন্তু এই পাহাড় বেগুনি, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল নানা রঙে রঙিন। ছবি: সংগৃহীত
-
যে দিকে চোখ যায় সে দিকেই রং। পর্বতমালা আসমানি, কমলা, লাল, হলুদ ও সবুজে রাঙা। প্রকৃতি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সুবিশাল ক্যানভাসে তুলির টানে সৃষ্টি করেছে এই রংমহল। ছবি: সংগৃহীত
-
উত্তর চীনের গানসু প্রদেশের লিনজে জেলায় ৪০০ বর্গ কিলিমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে এই রংধনু পর্বত বা রেনবো মাউন্টেন। এই পর্বতটি বর্তমান নাম গানসু ঝাংহে দাংশা ন্যাশানাল পার্ক। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু এত রং এল কোথা থেকে? ভূবিজ্ঞানীদের মতে, বহু বহু বছর ধরে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে শুষ্ক পর্বতেরগাত্রে এমন রংধনুর সাত রং ফুটে উঠেছে। টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল শিলাস্তর। ছবি: সংগৃহীত
-
শিলাস্তরে ছিল প্রচুর খনিজ পদার্থ, রঙিন সিলিকা সহ নানা উপাদান। বহু বছর ধরে ঋতু পরিবর্তন, ঝড়, বৃষ্টি, তুষারপাত, বিভিন্ন রকম রাসায়নিক বিক্রিয়ায় রূপ পরিবর্তন করতে করতে তৈরি হয়েছে বর্তমানের রেইনবো মাউন্টেন। ছবি: সংগৃহীত
-
হিমালয়ের অনেক আগেই এই পাহাড় তৈরি হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভূবিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, পাহাড়টি তৈরি হতে সময় লেগেছে প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ বছর। ছবি: সংগৃহীত
-
জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রখর সূর্যের তাপ থাকে। সেই সঙ্গে মাঝেমাঝেই বৃষ্টিপাত হয়। এই সময়েই রেইনবো মাউন্টেন তার রংবাহার নিয়ে অপেক্ষা করে পর্যটকদের জন্য। ছবি: সংগৃহীত
-
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের আগে এই পাহাড় আলোর খেলায় মেতে নানা রঙে সেজে ওঠে। ভোরবেলা এবং গোধুলির সময় চতুর্দিকের আলোয় ধীরে ধীরে রং বদল হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
২০১০ সালে ইউনেস্কো বিশ্বের অন্যতম পর্যটনস্থল রূপে এই পাহাড়কে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর স্বীকৃতি দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন প্রকৃতির এই অপার বিস্ময়কে দেখতে। গোটা এলাকাজুড়েই ঘাস ছাড়া তেমন কোনো উদ্ভিদ নেই। ছবি: সংগৃহীত
-
বেড়াতে গিয়ে অনেকেই স্মৃতি হিসেবে কিছু না কিছু নিয়ে ফেরেন। তবে রেইনবো মাউন্টেনের ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ নিয়ম। এখান থেকে রঙিন পাথর নিয়ে যাওয়া দÐনীয় অপরাধ। ছবি: সংগৃহীত
-
পার্কটিতে সাধারণ পর্যটকদের বাস প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘুরে দেখার জন্য পার্কের মধ্যেই গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। গোটা পার্ক ঘুরে দেখতে সময় লাগে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক। ছবি: সংগৃহীত