সব হারিয়ে যেভাবে কোটিপতি হলেন তুষার
মানুষের জীবন থেমে থাকে না। যেকোনো সমস্যার মধ্যে থেকেও বেঁচে থাকতে হয়, ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। এমনটাই জানা গেল তুষার জৈনের কাছ থেকে। তিনি সব হারিয়েও আবার সফলতা পেয়েছেন। হয়েছেন কোটিপতি।
-
তিনি শেয়ার কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছিলেন। সব হারিয়ে এক প্রকার পথে বসেছিলেন। তারপর আবার একটু একটু করে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা শুরু করেন। নিঃস্ব থেকে কয়েকশো কোটি টাকার সংস্থার মালিক হয়ে উঠলেন। ছবি: সংগৃহীত
-
তিনি তুষার জৈন। ব্যর্থতা যেখানে বেশির ভাগ মানুষকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়, তারা আর নতুন করে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সাহস হারিয়ে ফেলেন, তুষার জৈন তাদের সামনে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। সাফল্যের শিখর থেকে শূন্যে নেমে আসার পর কীভাবে শূন্য থেকে শুরু করে ফের শিখরে পৌঁছনো যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
তাকে জীবনে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সমস্ত বাধা পেরিয়ে আজ তিনি আড়াইশো কোটি রুপির সংস্থার মালিক। কয়েক হাজার মানুষকে জীবনধারণের ব্যবস্থা করে চলেছেন। ছবি: সংগৃহীত
-
১৯৯২ সালে ভারতের হর্ষদ মেহতার শেয়ার কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদেরই একজন ছিলেন ঝাড়খণ্ডেন ব্যবসায়ী মুলচাঁদ জৈন। সব হারিয়ে পরিবার নিয়ে পথে বসেছিলেন তিনি। তারই ছেলে তুষার। ছবি: সংগৃহীত
-
এরপর ছেলের সঙ্গে মুম্বাইয়ের রাস্তায় ব্যাগ বিক্রি করতে শুরু করেন। রাস্তায় রাস্তায় ব্যাগ বিক্রি করেই সংসার চালাতে শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন তুষার। ছবি: সংগৃহীত
-
তুষার এই সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা। বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ তৈরি করে থাকে সংস্থাটি। এই মুহূর্তে ভারতের চতুর্থ বৃহৎ ব্যাকপ্যাক এবং ব্যাগ বিক্রির সংস্থা এটি। মুম্বাইয়ে আছে এর সদর দফতর। সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় মোট ১০টি আলাদা অফিস রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
-
এর মাত্র দুই বছরের মধ্যে বছরে ১০ থেকে ২০ হাজার ব্যাগ তৈরি করতে শুরু করে সংস্থাটি। তখন বছরে মোট ব্যবসা ছিল ৯০ কোটি টাকার। ছবি: সংগৃহীত
-
২০১৭ সাল নাগাদ সংস্থার মোট ব্যবসা গিয়ে পৌঁছায় ২৫০ কোটি রুপিতে। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ব্যাগ তৈরি করতে শুরু করে সংস্থাটি। ছবি: সংগৃহীত
-
সাফল্যের সিঁড়িতে উঠে তুষারের সংস্থা ট্রাওয়ার্ল্ড লঞ্চ করে। বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ছবি: সংগৃহীত
-
তুষারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্থাকে আরও বড় করে তোলা। সংস্থার টার্নওভার এক হাজার কোটি রুপিতে নিয়ে যাওয়া। প্রতি বছর ২৫ লাখ ব্যাগ তৈরি করা। ছবি: সংগৃহীত