যে গ্রামে সাড়ে তিনশো বছর আগেও লকডাউন হয়েছিল
মহামারি করোনার সময় আমরা অনেক নতুন শব্দ জেনেছি। এর মধ্যে লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইন অন্যতম। এবার জেনে নিন যে গ্রামে সাড়ে তিনশো বছর আগেও লকডাউন হয়েছিল। ছিল কোয়ারেন্টাইনও।
-
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব ঘরবন্দি থাকার অর্থ বুঝেছে। এমন সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব হলে কীভাবে নিজেকে বন্দি রেখে কিংবা অন্যদের থেকে দূরত্ব গড়ে তুলে সুস্থ থাকা যায় এবং অন্যদের সুস্থ রাখা যায় তা শিখিয়েছে এই মহামারি। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু জানেন কি আজ থেকে সাড়ে তিনশো বছর আগে ইংল্যান্ডের একটি ছোট্ট গ্রাম সারা বিশ্বের কাছে লকডাউনের অর্থ শিখিয়ে গিয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
-
মহামারি প্লেগের সংক্রমণ রুখতে নিজেদের ঘরবন্দি করে ফেলেছিল গোটা গ্রাম। বাইরের জগতের সঙ্গে রাতারাতিই যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন করে ফেলেছিল তারা। ছবি: সংগৃহীত
-
ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের গ্রাম ইয়াম। তবে ৩৫৬ বছর আগের ওই ঘটনার পর থেকে এই গ্রাম বিশ্বের দরবারে হয়ে উঠেছে ‘প্লেগ গ্রাম’। ছবি: সংগৃহীত
-
মহামারিকে হারিয়ে এই গ্রাম এখন পুরোপুরি সুস্থ। কিন্তু ৩৫৬ বছর আগের সে সময়ের কাহিনি যেন আজও তুলে ধরে গ্রামটি। তাই পর্যটকদেরও বিশেষ আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে এই গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
-
১৬৬৫ সালে মহামারির কবলে পড়েছিল ইয়াম। পিক জেলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যেই রয়েছে গ্রামটি। অরণ্যের মধ্যে গ্রাম হওয়ায় এর জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমই। ২০১১ আদমশুমারি অনুযায়ী সেখানে জনসংখ্যা মাত্র ৯৬৯ জন। ছবি: সংগৃহীত
-
সে সময় গ্রামের এক দর্জি জর্জ ভিকারস লন্ডন থেকে অনেক কাপড় নিয়ে এসেছিলেন। সেই কাপড়ের সঙ্গেই গ্রামে ঢুকে পড়েছিল প্লেগের জীবাণু। ছবি: সংগৃহীত
-
এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু মিছিল শুরু হয় গ্রামে। প্রথম মারা যান ওই দর্জিই। তারপর তার পরিবারের অনেকে এবং গ্রামে তার গ্রাহকদের অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত
-
গ্রাম প্রধানের বুঝতে অসুবিধা হয়নি বিষয়টি। প্লেগ যে বিশ্বব্যাপী ভয়ানক রূপ ধারণ করছে সে খবর তার জানা ছিল। তাই তিনি অযথা দেরি করেননি। রাতারাতি কড়া লকডাউন ঘোষণা করেন। ছবি: সংগৃহীত
-
গোটা ইয়াম গ্রাম নিজেকে পুরোপুরি আলাদা করে ফেলেছিল। গ্রামের কোনও লোকজনই নিজের বাড়ি থেকে বিশেষ বার হতেন না। পাশের গ্রামেগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন করে ফেলেছিল ইয়াম। ছবি: সংগৃহীত