মুখে সোনার জিহ্বাসহ ২ হাজার বছরের মমির সন্ধান
নতুন মমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই মমি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ছবিতে দেখুন সেই মমি।
-
মুখের মধ্যে সোনার জিহ্বা! প্রাচীন মিশরীয়রা অনেক আগেই এমটা করে দেখিয়েছিলেন। ২ হাজার বছর আগের এক মমিতে এমনই নিদর্শন মিলল। ছবি: সংগৃহীত
-
মিশরের সর্বত্রই প্রাচীন স্থাপত্য ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানকার তাপসিরিস মাগনায় খননকার্য চালাতে গিয়ে সম্প্রতি ওই মমিটি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ছবি: সংগৃহীত
-
যে ব্যক্তির মমিতে সোনার জিহ্বা পাওয়া গেছে, তিনি কবে মারা গিয়েছিলেন তা যদিও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে ওই এলাকায় যে ১৬টি কবর খোঁড়া হয়েছে সেগুলোর বয়স ২ হাজার বছরেরও বেশি বলে জানা গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রত্যেকটি কবরই মিশরীয় পাতালের দেবতা ওসাইরিস এবং তার স্ত্রী এবং বোন আইসিসকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ওসাইরিস মৃত্যুর পর পরলোকে সকলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন বলে প্রচলিত ছিল প্রাচীন মিশরে। ছবি: সংগৃহীত
-
পরলোকে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য মৃত ব্যক্তির মুখে সোনার জিহ্বাটি বসানো হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতত্ত্বিদরা। তাদের ধারণা, মৃতদেহটি সংরক্ষণের জন্য যখন মোমের প্রলেপ লাগানো হচ্ছিল, সেই সময় আসল জিহ্বাটি বাদ দিয়ে সোনার জিহ্বাটি বসানো হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রাচীন মিশরে এই ধরনের প্রথা চালু ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। হাতেগোনা কিছু মানুষের সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা ছিল বলে মনে করতেন সে দেশের মানুষ। ইহকালের যাবতীয় ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতেই সোনার জিহ্বা বসানোর প্রচলন ছিল। ছবি: সংগৃহীত
-
মমিতে বন্দি মানুষটিকে জীবিত অবস্থায় কেমন দেখতে ছিল তা বোঝাতে সেকালে মৃত ব্যক্তির মুখের ধাঁচে পাথরের তৈরি মুখোশও বসানো থাকত। সে রকম বেশ কয়েকটি মুখোশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ছবি: সংগৃহীত
-
ইউনিভার্সিটি অব সান্টো ডমিনিগোয় কর্মরত ক্যাথলিন মার্টিনিজ নেতৃত্বাধীন প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদদের যৌথ দল মিলে তাপসিরিস মাগনায় খননকার্য চালাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
-
তাপোসিরিস মাগনা মন্দির যা ‘গ্রেট টেম্পল অব ওসিরিস’ থেকে রানি সপ্তম ক্লিয়োপেট্রার ছবি খোদাই করা কয়েনও উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। সেখানেই রানিকে কবর দেয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন ক্যাথলিন। মিশরের শেষ রানি ক্লিয়োপ্যাট্রা ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তার মৃত্যু হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
এর আগে, তাপোসিরিস মাগনা থেকেই গত বছর জুলাই মাসে সোনায় মোড়া বেশ কিছু মমি উদ্ধার হয়। ক্লিয়োপেট্রার আমলেই সেগুলো সমাধিস্থ করা হয়েছিল বলে ধারণা প্রত্নতত্ত্ববিদদের। শুধু তাই নয়, ওই মমিগুলোর মধ্যে দুই ব্যক্তি তৎকালীন মিশর সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন এমনকি রানির সঙ্গেও তাদের ওঠাবসা ছিল বলে ধারণা তাদের। ছবি: সংগৃহীত