যে ১০ দুঃসাহসী কাজ বেয়ার গ্রিলস এখনো করেননি
একজন দুঃসাহসী অভিযাত্রী বেয়ার গ্রিলস। তিনি রোমাঞ্চকর জীবনযাপন করেন। প্রচণ্ড দুঃসাহসী কাজের জন্য তিনি বিশ্ব বিখ্যাত। তিনি অবিশ্বাস্য সব ভ্রমণের মাধ্যমে বিশ্ব জয় করেছেন। তারও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ এমন কিছু দুঃসাহসী কাজ রয়েছে, যা কখনো করেননি বেয়ার গ্রিলস। জেনে নিন নেই সেই ১০টি কাজ সম্পর্কে।
-
অ্যান্টার্কটিকার সলো ক্রস: বিপজ্জনক অভিযানের একটি হলো অ্যান্টার্কটিকার সলো ক্রসিং। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও বিপজ্জনক হওয়ায় তা হয়ে ওঠে না। বেয়ার গ্রিলস কিছুটা করেছিলেন কিন্তু সম্পূর্ণরূপে করতে পারেননি। এটি জয় করা রোল্ড আমন্ডসেন এবং রবার্ট ফ্যালকন স্কট বলেন, ‘বিপজ্জনক হলেও ক্রসিং করা সম্ভব। এজন্য প্রশিক্ষণ, সরবরাহ ও অর্থ প্রয়োজন।’
-
এভারেস্টে বেজ জাম্পিং: এভারেস্টে গিয়ে বেজ জাম্পিং শুরু হয়। এর জন্য বাড়তি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। বেয়ার গ্রিলস ২৩ বছর বয়সে একবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু উইং স্যুট পরা অবস্থায় আর লাফ দেননি। অসম্ভব হলেও ভ্যালারি রোজভ নামে এক বিখ্যাত রাশিয়ান বেজ জাম্পার সফলভাবে লাফ দিয়েছিলেন।
-
দ্য ব্লু হোল গুহা ডাইভিং: মিসরের দাহাবের উত্তরে লোহিত সাগরের তলদেশের বিপজ্জনক গুহা ‘ব্লু হোল’। এটি ডাইভিং করা সবচেয়ে বিপজ্জনক। গুহাটিতে ২শ’র বেশি মরদেহ আছে। বিপজ্জনক গুহাটি ডাইভিং করেননি বেয়ার গ্রিলস।
-
এল ক্যাপিটালে ফ্রি সলো ক্লাইম্বিং: কোনো দড়ি, সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই নিজের ওপর ভর করে এল ক্যাপিটালে ওঠা। মূলত এটি বাস্তব জীবনে স্পাইডার ম্যান হয়ে উপরে ওঠার মতো। এটি প্রায় ৩ হাজার ফুট উঁচু এবং সম্পূর্ণ খাড়া, যা বেয়ার গ্রিলস কখনো জয় করতে পারেননি।
-
হেলমেকেন জলপ্রপাতে বরফ আরোহণ: বেয়ার গ্রিলস দীর্ঘ সাহসী কর্মজীবনে কয়েকটি কঠিন পাহাড় মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বরফ আরোহণ করেননি। কারণ এটি অবিশ্বাস্যভাবে খাড়া, যা কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ওয়েলস গ্রে উদ্যানের মধ্যে মর্টেল নদীর তীরে অবস্থিত। জলপ্রপাতটি ১৪১ মিটার।
-
ইংলিশ চ্যানেলে কায়াকিং: ইংলিশ চ্যানেলের পানি খুবই শীতল থাকে। চ্যানেলটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম শিপিং লেন, যা কায়াকিংকে বিপজ্জনক করে তোলে। তবুও এটি যাওয়া সম্ভব হয় একজন দক্ষ কায়ক হওয়ার পর। কিন্তু বেয়ার গ্রিলস এ কায়াকিং করতে পারেননি।
-
খাঁচা ছাড়া হাঙর ডাইভিং: হাঙর মানুষ খাওয়া পছন্দ করে না। যে জিনিসগুলো চিনতে পারে না, তা কামড় দিয়ে পরীক্ষা করে, যা ডুবুরির জন্য বিপজ্জনক, যারা খাঁচা ছাড়া ডাইভ করেন। হয়তো বেয়ার গ্রিলস এখনো সেই দুঃসাহসিকতা দেখাতে পারেননি।
-
উইং ওয়াকিং: বেয়ার গ্রিলস উচ্চতাকে ভয় পান। কিছুতেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছুক নন। এমন বিপজ্জনক কাজ তিনি একটিও করেননি। উইং ওয়াকিংও তেমন একটি বিপজ্জনক খেলা। এটি তিনি কখনোই করেননি।
-
ষাঁড়ের সাথে দৌড়: প্রতি বছর স্পেনের পাম্পলোনা শহরে সান ফারমেন উৎসবে ষাঁড়ের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। অনুষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হয়। এটি মোটামুটি বিপজ্জনক। কারণ সেখানে ষাঁড়ের পায়ের চাপে বা ধাক্কায় অনেকেই আহত হন। বেয়ার গ্রিলস এ কাজটিও কখনো করেননি।
-
আগ্নেয়গিরির নিচে প্রবেশ: নেগ্রো একটি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। এটি সৃষ্টি হয় আজ থেকে ১৬০ বছর আগে। এখানে ভলকানো বোর্ডিং করা একটি দুঃসাহসিক কাজ, যা করতে পারেননি বেয়ার গ্রিলস। কেননা কাঠের বোর্ড পিঠে চাপিয়ে দুঃসাহসিক কাজটি করতে হয়। ২৩৩৮ ফুট কালো পাহাড় বেয়ে উঠতে হয়। এতে ৪৫ মিনিট লাগে। একবার শীর্ষে পৌঁছে গেলে নিচে নামতে হবে দক্ষতার সাথে।