বিশ্বসেরা ৭টি ভ্রমণের জায়গা
বিশ্বের সেরা সেরা দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা দেখতে পছন্দ করেন ভ্রমণপিপাসুরা। যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তারা ভ্রমণ করে আসতে পারেন এই জায়গাগুলোতে।
-
নায়াগ্রা জলপ্রপাত: আমেরিকা ও কানাডায় অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত এই জলপ্রপাতটি। মূলত পাশাপাশি তিনটি ভিন্ন জলপ্রপাত নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত। বিগত কয়েক বছরের হিসেবে জানাগেছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ৩০ মিলিয়ন মানুষ এটি ভ্রমণ করতে এসেছে।
-
পিরামিড: এটি পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি। প্রাচীন মিশরের রাজাদের কবর বা সমাধীস্থ করার জন্য পিরামিড নির্মাণ করা হতো। মিসরে ছোটবড় ৭৫টি পিরামিড আছে। শুধু এই পিরামিড দেকার জন্যই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ মিশরে ভ্রমণ করে।
-
গ্রেট ওয়াল: চীনের গ্রেট ওয়াল বা মহাপ্রচীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের একটি। এটির জন্য চীন বিশ্বের সব মানুষের কাছে বিশেষ পরিচিত। চীন ভ্রমণের গেলে সবাই এটি দেখে আসতে কেউ ভুল করেন না।
-
আইফেল টাওয়ার: আধুনিক স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার। এটি ফ্রান্সের পরিচয় বহন করে। প্রতিদিন বিশ্বের অসংখ্য ভ্রমণ পিপাসু এটি ভ্রমণ করতে আসেন।
-
ক্রাইস্ট রিডিমার: ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরের কর্কোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় দুই হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন যিশু। এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছেন যেন পুরো শহরটাকে বা তার সামনে থাকা প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে আলিঙ্গন করবেন তিনি। প্রায় ৭০০ টন ওজনের ১২০ ফুট লম্বা ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার নামক এই মূর্তিটিকে এভাবেই তৈরি করা হয়েছে। এটিও ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থান।
-
মাচু পিচু: এটি পেরুর অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ১৯১১ সালে আবিষ্কারের পরে ইনকা সভ্যতার রহস্যময় মাচু পিচু শহরের ছবি। ছবিটি তুলেছিলেন, মাচু পিচুর আবিষ্কারক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরাম বিংহ্যাম বা হাইরাম বিংহ্যাম। বর্তমানে এটি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য। এটি পৃথিবীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
-
স্টোনহেঞ্জ: লন্ডনের স্টোনহেঞ্জ বিশ্বের সবথেকে বিখ্যাত প্রাগৈতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ। প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বে নির্মিত প্রথম স্মৃতিস্তম্ব ছিল এবং ২৫০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ এর শেষের দিকে নিওলিথিক যুগে নির্মিত হয়েছিল। স্টোন হেঞ্জ লন্ডনের ১৩৭ কিলোমিটার পশ্চিমে উইল্টশায়ারে সমভূমিতে অবস্থিত। রহস্যময় এই পাথরগুলো দেখতে হাজার হাজার পর্যটক আসে।