বিশ্বের যেসব জায়গা ধর্মীয় কারণে বিশ্বখ্যাত
বিভিন্ন ধর্মের কারণে বিশ্বের অনেক জায়গা পবিত্র ও তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত। এসব জায়গা বিশ্ববিখ্যাতও। ছবিতে দেখুন এসব জায়গার দৃশ্য।
-
সান্তিয়াগো ডি কম্পোসটেলা: ঈশ্বরের বাণী প্রচারের জন্য যীশুখ্রিষ্টের মনোনীত বারোজনের একজন, সেইন্ট জেমস দ্য গ্রেটকে সমাহিত করা হয়েছে এখানে। জনশ্রুতি রয়েছে যে স্পেনে ধর্মপ্রচারে অসফল হওয়ার পর জেরুজালেমে তাকে হত্যা করা হয়।
-
সিনাকারা: যেসব তীর্থযাত্রী পেরুর সিনাকারায় যান তারা সাধারণত এরকম নাচের পোশাক পরিধান করেন। একশ’রও বেশি নাচের ধরন রয়েছে, যেগুলোর মধ্য থেকে তার নিজের বংশের ঐতিহ্য অনুযায়ী নিজেদেরটি বেছে নেন একজন তীর্থযাত্রী।
-
জেরুজালেম: বিশ্বের আর কোনো স্থান নিয়ে সম্ভবত এত বিরোধ হয়নি, যেটা জেরুজালেম নিয়ে হচ্ছে। ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং মুসলমানরা জেরুসালেমকে তাদের পবিত্র স্থান মনে করেন। একেশ্বরবাদী এই তিন ধর্মেই হযরত ইব্রাহিম (আ.) কে নবী মনে করা হয়। খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করেন ক্রুশবিদ্ধ করার পর যিশুকে জেরুজালেমে সমাহিত করা হয়েছিল।
-
মক্কা: অবস্থাসম্পন্ন মুসলমানদের জীবনে অন্তত একবার হজে যাওয়ার বিধান রয়েছে। পাঁচদিনের হজে কাবা শরিফের চারপাশে সাত বার হাঁটা এবং সেটিকে স্পর্শ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। মহানবি হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্ম হয়েছিল মক্কায়।
-
কারবালা: ইরাকের পবিত্র শহর কারবালায় প্রতিবছর প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন শিয়া তীর্থযাত্রী মোহাম্মদ (সা.)-এর নাতি হুসেইনের সমাধির কাছে সমবেত হন। হুসেইনের সমাধি স্পর্শ করলে অনেক রোগ ভালো হয়ে যায় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।
-
তৌবা: সেনেগালের তৌবায় কোনো হোটেল নেই। ফলে শেখ আমাদু বাম্বার দরগা এবং মসজিদে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা থাকেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীর তত্ত্ববধানে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা তীর্থযাত্রীদের সেবা করাকে পরম দায়িত্ব মনে করেন।
-
শিকোকু: শিকোকুর তীর্থযাত্রার ধরন অনেকটা সান্তিয়াগো ডি কম্পোসটেলার মতো। তীর্থযাত্রীরা জাপানের দ্বীপটিতে সাদা পোশাক পরে হাতে একটি বই নিয়ে ঘুরতে থাকেন। বইয়ে তারা যেসব মন্দির পরিদর্শন করেন সেগুলোর স্ট্যাম্প দেয়া থাকে।
-
মেক্সিকো সিটি: প্রতিবছরের ডিসেম্বেরে ছয় থেকে আট মিলিয়ন ক্যাথলিক মেক্সিকো সিটিতে তীর্থযাত্রা করেন। তিন দিনের এই যাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্যারেড, পোশাক, নাচ এবং গানের আয়োজন থাকে।