যে কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এখনও চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্যে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে তিনি বাংলাদেশি। কেন এমনটা বলা হচ্ছে তা জেনে নিন।
-
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাদ্যাভ্যাস দেখেই ধরে ফেললেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। বিজেপি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরোধী শিবিরে। উঠেছে তীব্র সমালোচনার ঝড়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীরই তো অন্যতম প্রিয় খাবার পোহা। নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। তাহলে প্রধানমন্ত্রীও কি বাংলাদেশি?
-
চিড়া ও খিচুড়ি পছন্দ খাবার প্রধানমন্ত্রীর। এমনকি নিজেই খিচুড়ি রান্না করে খান। অতীত স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেচিলেন, ‘আগে সাড়ে ৪টায় ঘুম ভাঙত। তারপর ঘরদোর পরিষ্কার করে সকলের জন্য চা তৈরি করতাম। ভোর ৫.২০ মিনিট নাগাদ সবাইকে তুলে চা দিতাম।’
-
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সকলকে চা দেয়ার পর হাঁটতে বেরাতাম। ফিরে এসে তৈরি করতাম প্রাতরাশ। পোহা খেতে আমার দারুণ লাগে। সবকিছু সেরে পড়তাম সংবাদপত্র। সকালের আড়াই ঘণ্টা এটাই ছিল আমার প্রাত্যহিক রুটিন।’
-
প্রধানমন্ত্রীর ওই সাক্ষাতকারকে হাতিয়ার করে কৈলাসকে বিঁধেছেন নেটিজেনরা। তারাই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও কি বাংলাদেশি? শুধু তাই নয়, অতিসম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে গিয়ে পোহা ও জিলিপি খাওয়ার ছবি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। সেই ছবিও ছড়িয়েছে টুইটারে।
-
ইন্দোরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে সমর্থনে আলোচনাসভা। অনুপ্রবেকারীরা কীভাবে দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন তার উদাহরণ দিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দাবি করলেন, বাড়িতে নতুন ঘর তৈরি হচ্ছিল। সেখানে কাজে আসা শ্রমিকদে খাওয়ার ধরণ দেখেই তিনি বুঝে যান, এরা অনুপ্রবেশকারী।