বিশ্বসেরা ১০ ধনী পরিবারের গল্প
ধনী মানুষের সম্পদের কথা জানতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। জেনে নিন বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী পরিবারের গল্প। এই সব পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির সম্মিলিত জিডিপির সমান বলে এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে।
-
ওয়ালটন পরিবার: এই তালিকার শীর্ষে আছে মেক্সিকোর ওয়ালটন পরিবার। তাদের সম্পদের পরিমাণ ১৯০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ওয়ালটন মূলত খুচরা ব্যবসা করে। স্যাম ওয়ালটন ১৯৬২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ওয়ালমার্ট এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানির একটি, ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাদের রাজস্ব ছিল ৫১৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
-
মার্স পরিবার: যুক্তরাষ্ট্রের মার্স পরিবার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ১২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে। কনফেকশনারি বেকারি দিয়ে এই পরিবারের ব্যবসা শুরু হয়, পরবর্তীকালে যা আরও অন্যান্য ব্যবসায় সম্প্রসারিত হয়। ফরেস্ট মার্স সিনিয়রের তৈরি এই ব্যবসার মালিকানা এখন তার তিন সন্তানের হাতে। প্রতিনিয়ত তাদের ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে।
-
কোচ পরিবার: কোচ ভাইদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ১২৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। তারা এখন বিশ্বে তৃতীয় ধনী পরিবার। তেলের ব্যবসা দিয়ে এরা ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু এখন তাদের মনোযোগ রাজনীতিতে। পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও তারা এখন বিনিয়োগ করছে।
-
আল সৌদ-সৌদি রাজ পরিবার: সৌদি আরবের রাজ পরিবার আল সৌদ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানি সৌদি আরামকোসহ তেলশিল্পে এদের বিনিয়োগ আছে, সেখান থেকেই তারা এই সম্পদ তৈরি করেছে।
-
ওয়েরথিমার পরিবার: ফ্রান্সের ফ্যাশন হাউস চ্যানেলের মালিক এই পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৫৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। দুই ভাই অ্যালান ও গারহার্ড ওয়েরথিমার এখন এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাদের পিতামহ এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
-
ডুমাস পরিবার: ডুমাস পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৫৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। তাদের প্রতিষ্ঠিতি ফ্যাশন হাউস হারমেস চমৎকার হ্যান্ডব্যাগ ও সুগন্ধি দিয়ে ক্রেতাদের মন জয় করেছে। অ্যাক্সেল ডুমাস এখন এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী।
-
ভ্যান ডেম, ডে স্পোয়েলবার্চ ও ডে মেভিয়াস পরিবার: বুলগেরিয়ার এই পরিবার ৫০০ বছর ধরে পানীয় তৈরি করে আসছে। এই তিন পরিবারের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৫৩ বিলিয়ন ডলার।
-
মুকেশ ও অনিল আম্বানি: ভারতের বিখ্যাত আম্বানি পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৫২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। টেক্সটাইল শিল্প দিয়ে এই পরিবারের ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেন ধীরুভাই আম্বানি। পরবর্তীকালে আরও অনেক ব্যবসায় যুক্ত হয় এই পরিবার।
-
বোয়েহ্রিঞ্জার, ভন বাউমব্যাচ পরিবার: ওষুধশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বোয়েহ্রিঞ্জার ইঙ্গলহেইম পরিবার ১৩০ বছর ধরে। কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ বোয়েহ্রিঞ্জার পরিবারের হাতে। তবে কোম্পানি পরিচালনা করেন ভন বাউমবাচ। এই দুই পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৫২ বিলিয়ন ডলার।
-
কারগিল ও ম্যাকমিলান: এই পরিবার ১৫০ বছর ধরে ব্যবসা করছে। তাদের সম্পদের পরিমাণ ৪২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এখন ষষ্ঠ প্রজন্ম এই পরিবারের ব্যবসা পরিচালনা করছে। মার্কিন কোম্পানি কারগিল বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে থাকে। তারা মূলত কৃষি, শিল্প ও খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে।