বিশ্বসেরা বসবাসযোগ্য ১০ শহর
অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের শহর হয়ে উঠেছে বসবাসের অনুপযোগী। এর মাঝে কিছু কিছু দেশের শহরে বসবাস করা খুবই আরামদায়ক। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সম্প্রতি বিশ্বের ১৪০টি শহরের উপর জরিপ প্রকাশ করেছে। সেই জরিপ অনুযায়ী জেনে নিন বিশ্বসেরা বসবাসযোগ্য ১০ শহরের নাম।
-
ভিয়েনা: একশোর মধ্যে ৯৯.১ নম্বর পেয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তৈরি করা বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় প্রথম হয়েছে ভিয়েনা। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো বিবেচনা করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
-
মেলবোর্ন: ভিয়েনার আগে ‘গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স’ তালিকায় টানা সাত বছর শীর্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত মেলবোর্ন।
-
সিডনি: পঞ্চম থেকে এবার তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার আরেক শহর সিডনি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কিছু পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে পরিবেশ খাতে স্কোর বাড়ায় তালিকায় উপর উঠে এসেছে শহরটি।
-
ওসাকা: সিডনির কাছে তৃতীয় স্থান হারিয়েছে ওসাকা। ২০১৮ সালের আগে কিন্তু তালিকার শীর্ষ দশে কিন্তু জাপানের এই শহরটির নাম ছিল না। তবে অপরাধের হার কমিয়ে ও গণপরিবহনের মান বাড়িয়ে তালিকায় ঢুকে পড়েছে শহরটি।
-
ক্যালগেরি: উত্তর অ্যামেরিকার সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর হয়েছে ক্যানাডার ক্যালগেরি।
-
ভ্যাঙ্কুভার: ২০০২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর ছিল এটি।
-
টরন্টো: ক্যানাডার সবচেয়ে জনবহুল শহর টরন্টো বিশ্বের সবচেয়ে মাল্টিকালচারাল শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে। বাসিন্দাদের ৫১ শতাংশের জন্ম ক্যানাডার বাইরে।
-
টোকিও: ২০২০ সালের অলিম্পিক সামনে রেখে টোকিওর চেহারা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শহরের তালিকায়ও জাপানের রাজধানীর নাম রয়েছে।
-
কোপেনহেগেন: শীর্ষ দশে ভিয়েনার পর ইউরোপের আর মাত্র একটি শহরের নাম ঠাঁই পেয়েছে। সেটি হচ্ছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে সাইকেলবান্ধব হওয়ার আশা করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে যাত্রীদের ৫০ শতাংশ সাইকেলে চড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
-
অ্যাডেলেড: সিটি অফ চার্চ হিসেবে খ্যাত অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলেডের জনসংখ্যা ১৩ লাখ। বিশ্বখ্যাত সৈকত ও রেস্তোরাঁর কারণে এই শহরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।