বিনা পরিশ্রমে যেভাবে কোটিপতি হলেন যুবক
তার নাম এরিক সে। তিনি ৩৮৮ কোটি ডলার উপহার পেয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন। কিভাবে কোটিপতি হলেন তা জেনে নিন।
-
এক রাতের মধ্যেই সারা বিশ্ব তাকে চিনে ফেলল। এক রাতের মধ্যেই বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় জায়গা করে নিলেন তিনি।
-
যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি মাত্র ২৪ বছরের এক যুবক। সবে পড়াশোনা শেষ করেছেন। কোটি কোটি ডলারের মালিক হওয়ার জন্য একবিন্দুও পরিশ্রম করতে হয়নি তাকে। যেন আকাশের চাঁদ নিজে থেকেই তার হাতে চলে এসেছে!
-
হাতে ‘চাঁদ’ পেয়ে জীবনটাকে এখন অন্যভাবে উপভোগ করছেন তিনি। কখনো নামী মডেলদের সঙ্গে পার্টি করছেন তো কখনো বিল গেটসদের সঙ্গে একই টেবিলে ওঠাবসা করছেন, তো কখনো নামজাদা অভিনেতার পাশে বসে বাস্কেটবল খেলা দেখছেন।
-
এরিক সে ওয়াশিংটনের সিয়াটল-এ জন্ম হলেও তার বেড়ে ওঠা হংকং-এ।
-
হংকংয়ের স্কুলেই এরিকের পড়াশোনা। পেনসিলভেনিয়ার হোয়ারটন স্কুল থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বেজিংয়ের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যায়ের স্কলার ছিলেন তিনি।
-
জানতে ইচ্ছা করছে তো কীভাবে রাতারাতি কোটি কোটিপতি হয়ে উঠলেন এই যুবক? আসলে, ৩৮৮ কোটি ডলার উপহার পেয়েই রাতারাতি বিলিয়নিয়ার হয়ে গিয়েছেন এরিক।
-
এরিকের বাবার পারিবারিক ব্যবসা। সাইনো বায়োফার্মাসিউটিকল লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা তার বাবা-ই। আর তার মা সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর।
-
সংস্থার সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ৮৫০ কোটি ডলার। সেই সম্পত্তির একটা অংশই ছেলে এরিককে উপহার দিয়েছেন টেসি দম্পতি। ফলে রাতারাতি বিলিয়নিয়র হয়ে উঠেছেন এরিক।
-
বিলিয়নিয়ার হওয়ার পর কেমন জীবন কাটাচ্ছেন এরিক? তার বিলাসবহুল জীবনের পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই পাওয়া যায়।
-
রিহানা, বেলা হাদিদের মতো একাধিক সেলিব্রিটির সঙ্গে দুর্দান্ত সব ছবি আপলোড করেছেন এরিক। তাদের সঙ্গে পার্টি করে বেড়াচ্ছেন। কখনো ফ্রান্সের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি কার্লা ব্রুনির সঙ্গে, তো কখনো ইউরোপের মোনাকের প্রিন্সেস চার্লিনের সঙ্গে ফটোশুট করছেন। বা কখনো ডলফিনের সঙ্গে স্নান উপভোগ করছেন।
-
তার সম্পত্তি রাতারাতি স্টারবাকস্-এর প্রতিষ্ঠাতা হোয়ার্ড এবং স্ন্যাপচ্যাট-এর সিইও ইভানের থেকেও বেশি হয়ে গিয়েছে।
-
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে, এই উপহার তাকে বিশ্বের প্রথম প্রথম সাড়ে পাঁচশো জন ধনীর তালিকায় নিয়ে এসেছে।
-
ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করেন এই কোটিপতি যুবক। কখনো দুবাই, কখনো রাশিয়া তো কখনো প্যারিসে চলে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ১০ হাজার ফলোয়ারের জন্য ছবি তুলতে কখনো ভোলেন না এরিক।