মানুষ হত্যা করে যে ৫ নারী বিশ্বব্যাপী আলোচিত
শুধু পুরুষরাই খুন করে কুখ্যাতি অর্জন করে না। নারীরাও খুন করে আলোচিত হয়েছে। এবার জেনে নিন এমনই ভয়ঙ্কর ৫ নারী খুনির কথা।
-
হাঙ্গেরিতে ১৫৬০ সালে জন্ম, মৃত্যু ১৬১৪ সালে। তার গল্প শুনলে মনে হবে কোনো ভৌতিক ছবির কাহিনি শুনছেন। বলা হয়ে থাকে, ৫৪ বছরের জীবনে তিনি ৮০ থেকে ৬০০ জনকে খুন করেছিলেন। যাদের খুন করতেন, তাদের রক্ত দিয়ে গোসলও করতেন অ্যার্জেবেত বাথোরি। ভয়ঙ্কর খুনি হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম আছে তার।
-
নরওয়ের বেল গানেসের জন্ম ১৮৫৯ সালে, মৃত্যু ১৯০৮ সালে। ইতিহাসে ইনি ‘ব্লাক উইডো’ নামে পরিচিত। নরওয়ের এই নারী জীবনে ৪০ জনের মতো মানুষকে হত্যা করেছেন। নিহতদের মধ্যে তার স্বামী, পানি প্রার্থী, বোন, এমনকি সন্তানও ছিল বলে ধারণা করা হয়। মূলত জীবন বিমার টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার জন্যই খুন করতেন তিনি। খুনের সাক্ষী না রাখতে গিয়ে অনেক জনকে হত্যা করতে হয়েছে তাকে।
-
লিওনার্দা চিয়ানচিউলি (১৮৯৪-১৯৭০)। ইটালির এই নারী মাত্র তিনজনকে হত্যা করেই বিশ্বকুখ্যাত। সন্তানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেতে হবে শুনে ভাবনায় পড়ে যান লিওনার্দা। সন্তানকে যুদ্ধ থেকে দূরে রেখে বাঁচানোর একটা উপায়ই এলো মাথায়। লিওনার্দা ভাবলেন, সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে অন্যের প্রাণ উৎসর্গ করলে ছেলেকে বাঁচানো যাবে। তারপর একে একে তিনজন মধ্যবয়সি নারীকে হত্যা করলেন লিওনার্দা।
-
মেক্সিকোর হুয়ানা বারাথা। জন্ম ১৯৫৭ সালে ছিলেন পেশাদার কুস্তিগির। তবে মানুষ হত্যায় নেমে সেই পরিচয় প্রায় ভুলিয়ে দিয়েছেন। হুয়ানাকে এখন ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার হিসেবেই চেনে সবাই। কমপক্ষে ১১ জনকে খুন করেছেন। আরো ৪৯ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনেও তার হাত আছে বলে সন্দেহ করা হয়। ১১ জনকে খুন করার জন্য ৭৫৯ বছরের জেল হয়েছে হুয়ানার। এখনো জেলেই আছেন হুয়ানা।
-
যুক্তরাষ্ট্রের আয়েলিন ক্যারল ওয়ারনোস ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে সাতজনকে খুন করেছিলেন। আয়েলিনের দাবি, ওই সাতজন পতিতা হিসেবে কাজ করার সময় তাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল, আত্মরক্ষার্থে হত্যা করতে হয় তাদের। এ দাবির সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ফ্লোরিডার আদালত। তার জীবনকাহিনী নিয়ে টিভি সিরিয়াল, পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছবিও হয়েছে। ‘মনস্টার’ ছবিতে আয়েলিনের চরিত্র রূপায়ণ করে অস্কার জেতেন শার্লিজ থেরন।