অস্ট্রেলিয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ইসলামিক জাদুঘর
ইসলামিক মিউজিয়াম অব অস্ট্রেলিয়া নামের এ জাদুঘরটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত। দেশটিতে আগত দর্শনার্থীদের কাছে ইসলামের ইতহাস, জীবন-যাত্রা ও মুসলিম সভ্যতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে গড়ে তোলা হয়েছে এ জাদুঘর।
-
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, অস্ট্রেলিয়ায় স্থাপিত প্রথম ইসলামিক জাদুঘরটি সরকারের অনুমতিক্রমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম ব্যবসায়ী মুস্তাফা ফাহউর জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইসলামিক মিউজিয়াম অব অস্ট্রেলিয়া’ দেশটির প্রথম এবং একমাত্র ইসলামিক জাদুঘরের মর্যাদা লাভ করে।
-
এ জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের কাছে ইসলামের সুমহান ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুসলমানদের উন্নত সভ্যতা ও পরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
-
৫০ হাজার লোক একসঙ্গে জাদুঘরটি পরিদর্শনে যাতায়াত করতে পারে। সপ্তাহে ৬দিন জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। জাদুঘরটিতে আরবি ক্যালিওগ্রাফি, শিল্প, চিত্রকলা ও হস্তশিল্পসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে।
-
জাদুঘরটির পরিচালক মারিয়াম চৌধুরী বলেন, ‘ইসলামিক জাদুঘরটিতে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠান ও ইভেন্টের আয়োজন হয়ে থাকে। যাতে মানুষ ইসলামের সুমহান শিক্ষা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারে। ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে পারে।
-
এছাড়াও দর্শনার্থীরা জাদুঘরটি পরিদর্শন করে অস্ট্রেলিয়ার ইসলামের ইতিহাস এবং বিশ্বের ইসলামিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিমদের অবদান এবং ইসলামের মৌলিক ধারণা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
-
পরিচালকের তথ্য মতে, ‘জাদুঘরটি চালু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দর্শনার্থীদের কাছে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। দর্শনার্থীদের অনেকেই এ জাদুঘরে এসেই ইসলাম এবং মুসলিম দেশসমূহের বিষয়ে নানা অভিজ্ঞতা লাভ করে।