প্রকৃতির সবুজ আবহে নির্মিত হয়েছে তুরস্কের হামিদ কেমি মসজিদ
জন্মগতভাবে বিশ্বের সব মানুষই প্রকৃতি প্রেমিক। স্বভাবতই মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চায়। একারণে তুরস্কের এই মসজিদটি প্রাকৃতিক আবহে নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে দেখুন চোখজুড়ানো এই মসজিদটির ছবি।
-
এতদিন স্থাপত্য শিল্পীদের বিশেষ দৃষ্টি ছিল মসজিদের বাহিরের অংশ সৌন্দর্য বর্ধনে। এবার বহিরাংশের সৌন্দের্যের পাশাপাশি মসজিদের ভেতরের অনন্য সুন্দর দৃশ্য চিত্রিত হয়েছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক আবহে। এ মসজিদটি হলো তুর্কীর কেরিশির শহরে।
-
এ মসজিদটিকে নির্মাণে স্থানীয় লোকেরা তার ভেতরের ছাদকে আকাশের অবয়বে অংকন করেছেন। মসজিদের ফ্লোর বা মেজে’তে স্থাপন করেছেন দেখতে ঘাসের মতো কার্পেটে।
-
মসজিদের ভেতরে রয়েছে সুবিশাল ঝুলন্ত ঝাড় বাতি। যা মসজিদের সৌন্দর্যকে আরে বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদের মধ্যে সুবিশাল মিম্বারটি তৈরি হয়েছে বাঁশ ও কাঠের বেড়ায় আর ঘাসের ডিজাইনকৃত কার্পেটে আচ্ছাদিত হয়েছে মিম্বারের প্রতিটি ধাপ। তাওহিদের কালিমা খচিত মিম্বারের একটি গেটও রয়েছে।
-
যা তারা কুরআনুল কারিমের একটি আয়াতকে অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
-
এ মসজিদটি ১৯১০ সালে তুর্কীর কেরিশির শহরের ইয়েনসি এলাকায় অটোমান খিলাফতের অধীনে নির্মিত হয়েছিল।
-
মসজিদটি প্রথমে অটোমান খিলাফতের আমির সুলতান আবদুল হামিদের নামে নামকরণ করা হয়। উইকেপিডিয়ার তথ্য মতে মসজিদটি ২১ জুলাই ১৯০৫ সালে নির্মিত হয়।
-
মসজিদটি দীর্ঘদিন অবহেলা ও অযত্নে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে একই জায়গায় মসজিদটি সংস্কার করে তার নাম দেয়া ‘হামিদি ক্যামি মসজিদ’।
-
বর্তমানে মসজিদটির ভেতরের শৈল্পিক মোটিফগুলো আজারবাইজানের একজন স্থপতির দ্বারা অংকন করা হয়। যা গতবছর (২০১৬) সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এ মসজিদে স্থানীয় অধিবাসীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
-
শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ মসজিদটির সৌন্দর্য দেখতে এবং নামাজ আদায় করতে উপস্থিত হয়। একজন দর্শনার্থীর বক্তব্য হলো- ‘নামাজ আদায় করার সময় মনে করছিলাম যে আমি জান্নাতের বাগানে নামাজ আদায় করছি।’