জেনে নিন যেসব দেশে রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারী হতে হয়
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ বিশ্বের সব দেশের সংবিধান বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ৩০টি দেশে কেউ রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে তাকে নির্দিষ্ট একটি ধর্মের হতে হবে।
-
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান: ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর বিশ্লেষণ বলছে, ১৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে মুসলমান হতে হবে। এগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ব্রæনাই, ইরান, জর্ডান, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সিরিয়া, টিউনিশিয়া ও ইয়েমেন।
-
ইন্দোনেশিয়া: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস ইন্দোনেশিয়ায়। তবে সেদেশের সংবিধান বলছে, যিনি রাষ্ট্রপ্রধান হবেন তাকে অবশ্যই রাষ্ট্রের মতাদর্শে, যা পঞ্চশিলা নামে পরিচিত, বিশ্বাসী হতে হবে। ছবিতে ১৯৬৮ সালে দেশটির দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে সুহার্তোকে শপথ নিতে দেখা যাচ্ছে।
-
লেবানন: জনসংখ্যার প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ মুসলিম। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ সুন্নি ও বাকি ২৭ শতাংশ শিয়া। খ্রিষ্টান জনগণের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে ২১ শতাংশ ম্যারোনিট ক্যাথলিক ও ৮ শতাংশ গ্রিক অর্থোডক্স। এবার বলুন তো রাষ্ট্রপ্রধানকে কোন ধর্মের হতে হবে? সংবিধান বলছে, অবশ্যই ম্যারোনিট ক্যাথলিক। আর প্রধানমন্ত্রীকে হতে হবে অবশ্যই সুন্নি মুসলমান। রাষ্ট্রপ্রধান খ্রিষ্টান হতে হবে এমন শর্ত আছে অ্যান্ডোরাতেও।
-
রাজা বা রানিকে নির্দিষ্ট ধর্মের হতে হবে: যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ কমনওয়েলথভুক্ত ১৬টি দেশের রাজা অথবা রানিকে (বর্তমানে যেমন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ) অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি ধর্মের হতে হবে। রানির পদ অলংকারিক হলেও তিনি সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন এর ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য।
-
বৌদ্ধ রাষ্ট্রপ্রধান: এমন বিধান আছে দু’টি দেশে। ভুটান আর থাইল্যান্ডে। ছবিতে ভুটানের বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ও রানি গিয়ালতসুয়েন জেতসুন পেমা ওয়াংচুককে দেখা যাচ্ছে।
-
ধর্মীয় নেতাদের মানা: বলিভিয়া, মেক্সিকো ও এল সালভেদর সহ আটটি দেশের সংবিধান বলছে, ধর্মীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। অন্য দেশগুলো হচ্ছে মিয়ানমার, কস্টা রিকা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা।