ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানীর পুত্রের জমকালো বিয়েতে যা থাকছে

এই মেগা ওয়েডিংয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে গত শুক্রবার থেকে। বহু দিনের বান্ধবী শ্লোক মেহতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন আকাশ আম্বানী।

সুইজারল্যান্ডে ‘উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড’ প্রি-ওয়েডিং কাটিয়ে এসেছেন ব্রাউন ইউনিভার্সিটির এই দুই পড়ুয়া।

হ্যারি পটার থিমের পার্টিও করা হয়েছে মুম্বাইয়ের প্রি ওয়েডিংয়ে। হগওয়ার্টের হলের ধাঁচে সাজানো হয়েছিল প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের হল। ডিনার টেবিলও ছিল তেমনই।

সুইজারল্যান্ডের পর প্রি ওয়েডিং অনুষ্ঠান হয়েছে মুম্বাইতেও। অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন গুরু রণধাওয়া। উপস্থিত ছিলেন অনুশকা শর্মাসহ আরও সেলেব্রিটিরা।

বিয়ের পর আকাশের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে ঈশা অম্বানীকে। সাদা রঙের লং কোটে ঈশাকে লাগছিল চমৎকার।

গত মার্চেই শ্লোককে বিয়ের প্রস্তাব দেন আকাশ। #AkuStoleTheShlo এই হ্যাশট্যাগেই অনুষ্ঠানের ভিডিও শেয়ার হয়।

অনন্ত অম্বানীর বিশেষ বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টকেও দেখা গিয়েছে অনুষ্ঠানে। কোল্ড প্লের ক্রিস মার্টিনকে আম্বানী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল বিখ্যাত ব্যান্ড ‘দ্য চেনস্মোকার’-ও।

দেখা গিয়েছে ঈশা ও রাধিকাসহ আরও অনেককে নাচতে। পাশে ছিলেন আনন্দও। তিনি ঈশার দিক থেকে নাকি চোখ ফেরাতেই পারছিলেন না।

ঈশা বলেন, তার যমজ ভাই আকাশের মনটাও নামের মতোই। ঈশার জন্যই বিয়ের তারিখ পিছিয়েছিলেন আকাশ। আগে এনগেজমেন্ট হলেও বোনের বিয়ের পরেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন আকাশ। যমজ ভাইয়ের বিয়ের দিন কী পোশাক পরতে চলেছেন ঈশা, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

শ্লোককে পরিবারে স্বাগত জানাতে ঈশা গুজরাতি গান গেয়েছেন। তাকে সাহায্য করেছেন নীতা অম্বানীও। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।

ঈশা বলেন, শ্লোকের বোন দিয়াও একই স্কুলে পড়েছেন। ২৫ বছর ধরে তারা প্রিয় বন্ধু। পরবর্তীতে স্কুল বদলে শ্লোকের সঙ্গেও পড়েছেন তিনি। অতএব, শ্লোক আগে থেকেই তার পরিবারের সদস্য, জানিয়েছেন ঈশা।

গত ৭ মার্চ ওয়ার্লিতে হয়েছে মালা-মেহেন্দির অনুষ্ঠান। গ্র্যামি জয়ী ব্যান্ড ‘মেরুন ৫’-এর পারফরম্যান্স হয়েছিলো ওই দিন।

আনন্দ ও শ্লোকের বিয়ে হবে মুম্বাইয়ে, বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সের জিয়ো ওয়ার্ল্ড সেন্টারে। বিয়ে ঘিরেও চলবে তিন দিনের অনুষ্ঠান। প্রত্যাশিত, তারকার মেলা বসবে এবারেও।

১১ তারিখ হবে আকাশ-শ্লোকের রিসেপশন। মঙ্গল পর্বের অনুষ্ঠান যদিও বিয়ের দিনই হবে।

মবার মহাশিবরাত্রির পুজোও করেছেন আম্বানী পরিবার।

চলতি বছরে আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না। সেই অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হবে পুলওয়ামায় নিহত সেনাদের পরিবারকে। এমন পরিস্থিতিতে আম্বানীদের চেনা জাঁকজমকের চাকচিক্য ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও আম্বানীদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, নিহত জওয়ানদের সন্তানদের পড়াশোনা ও জীবিকার দায়িত্ব নেবে রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন।