বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জীবনমানের সেরা ১০ দেশ

শ্রেষ্ঠ জীবনমানের প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। এখানকার মানুষ পৃথিবীর সেরা মানের জীবনযাপন করেন। অধিকাংশের চাকরি আছে। আরো আছে শিক্ষা এবং তাদের গড় আয়ু ৮২ বছর।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশটি প্রথম স্থানে ছিল। সমাজ নিয়ে গভীর ভাবনায় জড়িত অস্ট্রেলিয়ানরা। তাদের ৯৫ শতাংশ মনে করেন, সমাজে এমন কেউ না কেউ আছেন যার ওপর তারা নির্ভর করতে পারেন।

তালিকার তৃতীয় সারিতে আছে ডেনমার্ক। ছুটির সময় কর্মীদের পারিশ্রমীক দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে রয়েছে দেশটি। প্রতিবছর ৫ সপ্তাহের ছুটিতেও অর্থ পান কর্মীরা। ফুল-টাইম চাকরিজীবীরাও বছরের ৬৬ শতাংশ দিন নিজের খেয়াল রাখার পেছনে সময় ব্যয় করেন।

চতুর্থতে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এ দেশে বেকারত্ব ৩.১ শতাংশের কাছাকাছি থাকে। এ হিসাব বিশ্বের সর্বনিম্নের মধ্যে একটি।

হাউজিং খাতে সবচেয়ে ভালো সেবা মেলে কানাডায়। দেশটি রয়েছে ৫ নম্বরে।

ছয় নম্বরে আছে সুইডেন। সমাজে প্রত্যেক মানুষের কার্যক্রম অনেক ভালো। সাম্প্রতিক নির্বাচনে ৮৩ শতাংশ মানুষ ভোট প্রদান করেছে।

সাত নম্বরে আছে নিউজিল্যান্ড। দেশটি পরিবেশের ওপর দারুণ গুরুত্ব দেয়। গ্রিনহাউজ ইফেক্ট এ দেশে অনেক কম। জনসংখ্যা কম হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

ফিনল্যান্ড রয়েছে ৮ নম্বরে। এদেশের ৪ শতাংশ কর্মী দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন।

এরপরই রয়েছে আমেরিকার নাম। গত বছরের ইনডেক্স থেকে পিছিয়েছে ৪ ধাপ। তবে হাউজিং, ইনকাম এবং মানুষের সম্পদ বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার আগে রয়েছে। হাউজহোল্ড ডিসপোজেবল ইনকাম বছর প্রতি ৪১ হাজার ৭১ ডলারে উপনীত হয়েছে।

শ্রেষ্ঠ জীবনমানের তালিকায় দশ নম্বরে রয়েছে আইসল্যান্ডের নাম। দেশটির কর্মক্ষম মানুষের ০.৭ শতাংশ এক বছরের বেশি সময় ধরে বেকার ছিল।