বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ পিছনে ফেলল যেসব স্ট্যাচুকে
ভারতে উন্মোচিত হয়েছে বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’। গুজরাটের নর্মদা জেলায় স্থাপিত এই মূর্তির উচ্চতা ১৮২ মিটার। উচ্চতায় এই মূর্তি হারিয়ে দিল চীনের স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধকেও। দেখে নিন বিশ্বের অন্যান্য উচ্চতর মূর্তিগুলো কী কী।
-
স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধ : চীনের হেনান প্রদেশের এই মূর্তির উচ্চতা ১২৮ মিটার। মূর্তির পাদদেশ নিয়ে মোট উচ্চতা ১৫৩ মিটার। এই মূর্তির নীচে একটি বৌদ্ধমঠ রয়েছে। ১৯৯৭-২০০৮-এর মধ্যে নির্মিত এই মূর্তি স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০২ কোটি টাকা। স্ট্যাচু অব ইউনিটি নির্মাণের আগে এটিই ছিল বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি।
-
লেকিউন সেক্কিয়া : মায়ানমারের খাটাকান টংয়ে স্থাপিত এই বুদ্ধমূর্তির নির্মাণ শেষ হয় ২০০৮ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি। ৩১ তলা এই মূর্তি ১১৬ মিটার উঁচু। বুদ্ধের জীবনকথা ও জাতকের নানা গল্প খোদিত রয়েছে এই মূর্তির দেওয়ালে।
-
উশিকু দাইবুৎসু : ১১০ মিটার উঁচু এই মূর্তি জাপানে অবস্থিত। ১৯৯৩ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলে, তৎকালীন সময়ে এটিই ছিল বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি।
-
স্ট্যাচু অব লিবার্টি : ৯৩ মিটার অর্থাৎ ৩০৫ ফুট উঁচু এই মূর্তির কথা কে না জানে! এই মূর্তির ঐতিহাসিক মূল্যও অপরিসীম। ১৮৮৬ সালের ১৮ অক্টোবর এই মূর্তি উন্মোচিত হয়। নিউ ইয়র্কে অবস্থিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি আমেরিকার গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক।
-
দ্য গ্রেট বুদ্ধ : তাইল্যান্ডের অ্যাং থং প্রদেশে অবস্থিত এই বুদ্ধমূর্তির উচ্চতা ৩০১ ফুট (৯২ মিটার)। এই মূর্তি বানাতে সময় লেগেছিল ১৮ বছর। তাইল্যান্ডের ‘বিগ বুদ্ধ’ বলতে একেই বোঝায়। কংক্রিটে বানানো এই মূর্তির গায়ের সোনালি রং মন জয় করে পর্যটকদের।
-
দ্য মাদারল্যান্ড কলস : রাশিয়ার ভোলগোগ্র্যাডে অবস্থিত এই মূর্তির উচ্চতা ৮৫ মিটার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন স্তালিনগ্রাদ শহরের দখল নিয়ে জার্মানির সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের যে যুদ্ধ হয়, তাতে জয়লাভ করে রাশিয়া। তারই প্রতীক হিসাবে এই মূর্তি তৈরি হয়।
-
স্ট্যাচু অব ইউনিটি : গত ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ সালে ভারতের গুজরাতে নর্মদা জেলায় সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপাতত এটিই বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি। এই মূর্তির ১৫৩ মিটার উচ্চতায় রয়েছে একটি গ্যালারি। বিপুল খরচের এই মূর্তি বানাতে দৈনিক কাজ করেছেন ৩৪০০ জন শ্রমিক।