বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন
সমুদ্রের উপরে ৫৫ কি.মি. দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করেছে চীন। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। জেনে নিন এই সেতু সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
-
চীনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে আগে যেখানে এ পথ পাড়ি দিতে তিন ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় হত, সেখানে এখন সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট।
-
রিখটার স্কেলে ৮ তীব্রতার ভূমিকম্পতেও এই সেতু ভেঙে পড়বে না।
-
এই সেতুতে গাড়ি প্রতি টোল ট্যাক্স ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এক লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই সেতুটি তৈরিতে। প্রযুক্তি ও স্থাপত্যের দিক থেকে দুর্দান্ত হলে সেতুটি নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে তাই বিস্তর।
-
নির্মাণকালীন নিরাপত্তা নিয়েও সমালোচনা শুনতে হয়েছে চিনকে। কারণ নির্মাণ কাজ চলার সময় নিহত হয়েছেন ১৮ জন শ্রমিক।
-
শক্তিশালী মাত্রার ঘূর্ণিঝড় কিংবা ভূমিকম্প প্রতিরোধী এ সেতুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে চার লক্ষ টন স্টিল। এটি দিয়ে নাকি ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব, দাবি প্রযুক্তিবিদদের।
-
সেতুটির প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পার্ল নদীর উপর দিয়ে গিয়েছে, আর জাহাজ চলাচল চালু রাখতে ৬.৭ কিলোমিটার রাখা হয়েছে সমুদ্রের নিচের সুড়ঙ্গপথে এবং এর দু’অংশের মধ্যে সংযোগস্থলে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ।
-
হংকং, ম্যাকাও এবং আরো নয়টি শহরকে যুক্ত করে একটি বৃহত্তর সমুদ্র এলাকা তৈরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেতু নির্মাণ করেছে চীন।
-
কেউ চাইলেই সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে না। যারা সেতু পাড়ি দিতে চান তাদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে আর সব যানবাহনকেই কর দিতে হবে।
-
সেতুতে আলাদা করে কোনো গণপরিবহন থাকবে না তবে যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য শাটল বাস থাকার কথা। সেতু কর্তৃপক্ষের দাবি, দিনে প্রায় ৯,২০০ যান এই সেতু দিয়ে চলাচল করবে।
-
চীনের গ্রেটার বে এলাকায় অবস্থিত এই সেতুটির ভূমিকম্প প্রতিরোধী ক্ষমতা মারাত্মক। সেতু তৈরির ফলে জিডিপি আরও বাড়বে, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।