জেলখানা তো নয় যেন ফাইভ স্টার হোটেল!
‘জেলখানা’-এ শব্দটি শুনলে এক কথায় নরক যন্ত্রণার কথা মনে হয়। তবে বিশ্বে এমন অনেক জেলখানা রয়েছে যা পাঁচতারকা হোটেলের চেয়ে বিলাসবহুল।
-
এটি স্পেনের অ্যারনজুয়েজ জেলখানা। এই জেলে পরিবার নিয়ে এক সঙ্গে সময় কাটানোর ব্যবস্থা আছে। চারপাশ রীতিমতো খোলামেলা, দেওয়ালে নানা কার্টুনের ছবিও দেখা যাচ্ছে। জেলের ভিতরই খেলার মাঠ, স্কুল সবই রয়েছে।
-
নরওয়ের ব্যাসটয় জেলখানা এটি। এই দেশের সবচেয়ে কম নিরপত্তাসম্পন্ন জেল এটি। হর্টেন মিউনিসিপ্যালিটির ওসলো ফিয়োর্ডে একটি গোটা দ্বীপ জুড়ে এই জেল। এখানে দোকান, লাইব্রেরি, অফিস, স্কুল, গির্জা সবকিছুই রয়েছে।
-
এটি নরওয়ের হালডেন জেল। নরওয়ের এই জেলটি সবচেয়ে কড়া নিরাপত্তাসম্পন্ন জেল। এমনকি নরওয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেল এটি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আসামীদের এই জেলে রাখা হয়। বাইরে কড়া নিরাপত্তা থাকলেও অভ্যন্তরে ততটাই খোলামেলা পরিবেশ। ২০১০ সালে তৈরি হয় এই জেলটি। মূলত পুর্নবাসনের জন্য ব্যবহার করা হয় জেলটিকে।
-
জাপানের ওনোমোচি জেল এটি। এই জেলে সাধারণত বৃদ্ধ আসামীদের রাখা হয়। দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের সুবিধা রয়েছে এই জেলে।
-
নেদারল্যান্ডস, নরগারহেভেন জেল- এই জেলে প্রত্যেক আসামীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে নরম বিছানা, ফ্রিজ, টেলিভিশন, আসবাবপত্র এবং অ্যাটাচড বাথরুম।
-
স্কটল্যান্ড এইচএমপি অ্যাডিওয়েল জেল-এই জেলে আসামীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জেলটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ। এখানে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন আসামীরা।
-
রাশিয়ার ব্লাক ডলফিন জেল এটি। এতে সর্বক্ষণ কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা রয়েছে জেলটি। সঙ্গে চলছে সিসিটিভির নজরদারি। হাই প্রোফাইল অপরাধীদের এখানেই রাখা হয়।
-
সুইজারল্যান্ডের চ্যাম্প দোলোন জেল এটি। এটি জেনেভায় ১৯৭৭ সালে তৈরি হয় এই জেল। সাধারণত অভিযুক্তদের রাখা হয় এখানে। বর্তমানে ১১৫টি দেশের অভিযুক্ত রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জেলে।
-
জার্মানির ল্যান্ডসবার্গ জেল এটি। এই জেলেই জীবনের একটা সময় কাটিয়েছে হিটলার। এখানে বসেই লিখেছে ‘মাইন ক্যাম্ফ’। আসামীদের জন্য সবধরনের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ৩৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আসামীদের।
-
জাতিসঙ্গের জেল এটি। নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের এই জেল তৈরি হয় ১৯৩৩ সালে। আন্তর্জাতিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্তকে এই জেলে রাখা হয়। এটিকে বলা হয় দ্য ইউনাইটেড নেশনস ডিটেনশন ইউনিট।