কয়েক বছরের মধ্যেই হারিয়ে যাবে বিশ্বের যেসব জনপ্রিয় স্থান
আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হারিয়ে যাবে বিশ্বের যেসব জনপ্রিয় স্থান, সেসব স্থানের ছবি নিয়ে এবারের অ্যালবাম সাজানো হয়েছে।
-
ভেনিস-ইতালি : ভাবতেই খারাপ লাগে, ৮০ বছর পর পৃথিবীর অন্যতম সেরা রোমান্সের এই শহরের আর কোনো অস্বিত্বই থাকবেই না। ভয়ঙ্কর বন্যায় সমুদ্রের নীচে মুখ লুকাতে পারে এই শহর।
-
দ্য ডেড সি-ইজরাইল ও জর্ডনের সীমান্ত : সাঁতার না জানলেও দিব্যি ভেসে থাকা যায় এই সমুদ্রে। ডেড সি-র জনপ্রিয়তা এখানেই। ৩৫ বছরের মধ্যেই সম্ভবত ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যাবে এই সমুদ্র।
-
মাউন্ট কিলিমেঞ্জারো-তানজানিয়া : বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৯১২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বরফ গলেছে মাউন্ট কিলিমেঞ্জারোর। আগামী ২০ বছর পর কিলিমেঞ্জারোর বেশির ভাগের চিহ্ন নাও থাকতে পারে এই পৃথিবীতে।
-
সেসেলস : নবদম্পতিদের কাছে হট ফেভারিট হনিমুন ডেস্টিনেশন এই সেসেলস। কিন্তু মারাত্মক ভূমিক্ষয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ। ফলে আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে হয়তো হারিয়ে যাবে সেসেলস।
-
মালদ্বীপ-ভারত মহাসাগর : অন্যতম পছন্দের হনিমুন ডেস্টিনেশনগুলির মধ্যে অন্যতম এই মালদ্বীপ। আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের করাল গ্রাসে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারে মালদ্বীপও।
-
দ্য গ্রেট বেরিয়ার রিফ-অস্ট্রেলিয়া : বিরল প্রজাতির অসংখ্য প্রাণীর বাস এখানে। কিন্তু বিশ্ব-উষ্ণায়নের ছোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই এলাকা। প্রকৃতিবিদদের মতে, ১০০ বছর পর আর হয়তো দেখাই যাবে না প্রকৃতির এই আশ্চর্য সৃষ্টিটি।
-
গ্লেসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক, মন্টানা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : এই পার্কে ১৫০টি গ্লেসিয়ার্স ছিল এক সময়। এখন এর সংখ্যা মাত্র ২৫টি। ১৫ বছর পর সম্ভবত আর একটিও গ্লেসিয়ার দেখা যাবে না এই পার্কে।
-
অরাল সি-কাজাকিস্তান ও উজবেকিস্তানের সীমান্ত : এক সময় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম লেক ছিল এটি। ২০০৭ সালে দেখা যায়, আগের থেকে অন্তত ১০ শতাংশ শুকিয়ে গিয়েছে অরাল সি। খুব শীঘ্রই হয়তো এর অস্বস্তিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবী থেকে।