ভুতুরে দ্বীপ
এই দ্বীপগুলোতে ভূত না থাকলেও সব সময় ভুতুরে পরিবেশ বিরাজমান থাকে।
-
পভেগ্লিয়া আইল্যান্ড : ১৬২৯ থেকে ১৬৩১ সাল পর্যন্ত প্লেগের কারণে মহামারিতে ভেনিসে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এই দ্বীপে মৃত এবং আক্রান্তদের এনে ফেলে রাখা হয়। তাই এ দ্বীপটি বিশ্বের সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গা বলে পরিচিত।
-
নরফোক আইল্যান্ড : অস্ট্রেলিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরে এই দ্বীপটির অবস্থান। ব্রিটিশরা এখানে কুখ্যাত অপরাধীদের এখানে এনে বন্দি করে রাখত। ভুতুড়ে দ্বীপ বলে এই দ্বীপটি পরিচিত।
-
আলকাত্রাজ দ্বীপ : সানফ্রান্সিস্কো উপসাগরে আলকাত্রাজ দ্বীপের অবস্থান। এখানে রয়েছে কুখ্যাত আলকাত্রাজ জেল। তাই এটি সবার কাছে ভুতুরে দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।
-
কোরিগিডর আইল্যান্ড : ফিলিপিন্সের ম্যানিলা উপসাগরে এ দ্বীপটি রয়েছে। ১৯৪১ সালে জাপানি সেনারা প্রথমবার এ দ্বীপটি দখলে নেয়। এই দ্বীপে এক সঙ্গে তিন হাজারের বেশি জাপানী সেনা আত্মহত্যা করে। এর আগে মানব সভ্যতায় এক সঙ্গে এতো মানুষ আত্মহত্যা করেনি।
-
ডেডম্যান্স আইল্যান্ড : কলম্বিয়ায় এই ভুতুড়ে দ্বীপটি রয়েছে। স্থানীয় স্কোয়ামিশ উপজাতিদের কবরস্থান বলে এ দ্বীপটি পরিচিত। এখানে সব সময় ভুতুড়ে পরিবেশ থাকে।
-
আইলা দ্য লা মিউনেকাস : মেক্সিকোতে এই দ্বীপটি পুতুলদের দ্বীপটি নামে পরিচিত। এ দ্বীপটিতে ১৯৫০ ডন জুলিয়ান সান্টানা বারেরা আসেন। কিছু দিন পর জন টের পান এই দ্বীপে তিনি ছাড়াও একটি বাচ্চা মেয়ে রয়েছে। তিনি এই মেয়ের কান্না শুনতে পান। পরে ডন জানতে পারেন মেয়েটি পানিতে ডুবে মারা গেছে।
-
স্টার আইল্যান্ড : নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে সাত মাইল দূরে শোল দ্বীপপুঞ্জে এই স্টার আইল্যান্ড দ্বীপের অবস্থান। দস্যুরা এই দ্বীপে তাদের লুঠ করা মালপত্র জমা করে রাখত বলে শোনা যায়। এই দ্বীপটি ভুতুড়ে দ্বীপ বলে পরিচিত।
-
হার্ট আইল্যান্ড : মৃতদের দ্বীপ বলে পরিচিত এই দ্বীপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। এখানে বন্দীদের রাখা হয়। এখানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম গণকবর। এই দ্বীপেবে ওয়ারিশ লাশের কবরও দেওয়া হয়।