যে অভিবাসীরা বিশ্বকে বদলে দিয়েছেন
অভিবাসী হয়েও বিশ্বের ইতিহাসে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন ৭ জন কীর্তিমান মানুষ। তাদের ছবি নিয়ে এবারের অ্যালবাম সাজানো হয়েছে।
-
আলবার্ট আইনস্টাইন : জার্মানিতে জন্মেছিলেন আইনস্টাইন। এই দেশ থেকেই ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন। ত্রিশের দশকের প্রথম ভাগে চলে এসেছিলেন আমেরিকায়। ঘুরতেই এসেছিলেন। কিন্তু আর ফিরে যাওয়া হয়নি। ১৯৪০ সালে আমেরিকার নাগরিকত্বও গ্রহণ করেছিলেন বিশ্বখ্যাত এই পদার্থবিজ্ঞানী।
-
বব মার্লে : ১৯৭৭ সালে তার ‘এক্সোডস’ অ্যালবাম আলোড়ন তুলেছিল গোটা বিশ্বে। তার জন্ম জামাইকায়। তার পরিবার নিজেদের সিরিয়ার খ্রিস্টান বলে দাবি করে এসেছেন।
-
জ্যাকি চ্যান : জন্ম হংকংয়ে। কিন্তু সাফল্য পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। কর্মসূত্রে তার বাবা থাকতেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায়। স্টান্টম্যান হিসাবে শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ার। পরে মার্শাল আর্টিস্ট হিসাবে বিপুল সাফল্য পান হলিউডে। শুধু হলিউড নয়, সারা বিশ্বের একাধিক ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।
-
সিগমান্ড ফ্রয়েড : সারা বিশ্ব তাকে চেনে সাইকো-অ্যানালিসিসের জনক হিসাবে। হিটলার অস্ট্রিয়া আক্রমণ করলে নিজের জন্মভূমি ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন ফ্রয়েড। আর কোনো দিনই ফিরে যেতে পারেননি দেশে। শেষ পর্যন্ত লন্ডনেই মৃত্যু হয় বিশ্ব বিখ্যাত এই ‘অভিবাসী’ সংখ্যাতত্ত্ববিদের।
-
জেরি স্প্রিঙ্গার : ‘আ পুওর রিফিউজি’ এই শব্দবন্ধ দিয়ে নিজেকে নিজেই সম্বোধন করতেন মার্কিন টেলিভিশনের পরিচিত মুখ জেরি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে লন্ডনের হাইগেট টিউব রেল স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিল জেরির পরিবার। সেখানেই জন্ম হয় জেরির।
-
রাচেল উইজ : হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। কিন্তু নামের পাশে ছিল অভিবাসী তকমা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লন্ডন থেকে আমেরিকায় পালিয়ে এসেছিলেন তার বাবা-মা। আর ফেরা হয়নি দেশে। যদিও এখনও ব্রিটিশ এবং আমেরিকান, একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্বই রয়েছে তার জিম্মায়।
-
কার্ল মার্কস : একাধারে তিনি দার্শনিক, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, সমাজতত্ত¡বিদ, সাংবাদিক। জন্মসূত্রে জার্মান। কিন্তু জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটেছে লন্ডনে। তার আগে কখনও প্যারিস, কখনও বা ব্রাসেলস। অভিবাসী তকমা পিছু ছাড়েনি কখনও।