আধুনিক যুগের সপ্তাশ্চর্য
আধুনিক সভ্যতায় এখন পর্যন্ত নানা রকম বিস্ময়কর স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। এখনও প্রতি নিয়ত হচ্ছে। প্রতিদিন একটি সৃষ্টিকে যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আধুনিক কালে নির্মিত বহু উৎকৃষ্ট স্থাপত্য বিস্ময়গুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যা আধুনিক যুগের সপ্তাশ্চর্য নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
-
এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথা পৃথিবীর গগনচুস্বী সুউচ্চ দালানের নাম হচ্ছে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং। এটি নিউইয়র্কের ফিফথ এভিনিউ ও ওয়েস্ট থার্টি ফোর্থ স্ট্রিটের মধ্যস্থলে অবস্থিত এ ভবনটির উচ্চতা ৩৮১ মিটার বা ১,২৫০ ফুট। এতে ১০২টি তলা রয়েছে।
-
পানামা খাল : পানামাখাল আমেরিকা মহাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ ভ‚খণ্ডকে সংযোগকারী প্রণালী। জাহাজ পারাপারের জন্য এটি একটি কৃত্রিম খাল। পানামা খালটি আন্টালনটিক মহাসাগর ও প্রশাস্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে।
-
পৃথিবীর দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ চ্যানেল-টানেল : ইংল্যান্ডের টেমস নদীর সুড়ঙ্গপথের কথা অনেকেরই জানা। ফ্রান্সের সঙ্গে ইংল্যান্ডের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে টেমস নদীর এ সুড়ঙ্গটি। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ। সুবিখ্যাত ইংলিশ চ্যানেলের অন্তর্ভুক্ত চ্যানেল টানেল আটলান্টিক মহাসাগরেরও অন্তর্ভুক্ত। এর দৈর্ঘ্য ৫০৫ কিলোমিটার আর এটি প্রশস্ত ৩.৩ মিটার।
-
ডেল্টা ওর্য়াকস : আধুনিক সপ্তাশ্চর্যেও ডেল্টা ওয়ার্কস অন্যতম। এটি একটি বাঁধ। এটি নেদারল্যান্ডে অবস্থিত। বাইন, মিউজ এবং সেকল্ড এই তিনটি নদীকে কেন্দ্র করে ডেল্টা ওয়ার্কস গড়ে উঠে। এই ওর্য়াকসটির নির্মাণ কাজ ১৯৫৩ সালে শুরু হয়ে ১৯৯৭ সালে কাজ শেষ হয়। প্রায় অর্ধশত বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলে।
-
ইতাইপু বাঁধ : ইতাইপু বাঁধ প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল দুই দেশে অবস্থিত। পারানা নদীতে বাঁধ দিয়ে বাঁধটি তৈরি করা হয়েছে। এ বাঁধটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৪০০ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত বিদ্যুতের বেশির ভাগই ব্রাজিল ব্যবহার করে।
-
সিএন টাওয়ার : চোখ ধাঁধানো সিএন টাওয়ারটি ১৮১৫.৪ ফুট লম্বা। এটি কানাডার টরেন্টোতে অবস্থিত। সিএন টাওয়ারটি কানাডার বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ এবং পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর নির্মাণ কাজ ১৯৭৫ সালে শেষ করা হয়। এটি কানাডার জাতীয় টাওয়ার হিসেবে স্বীকৃত।
-
গোল্ডেন গেট ব্রীজ : গোল্ডেন গেট ব্রীজটি আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের সানফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত। এটি দেখতে এই সুন্দর যে, প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্তের অগণিত পর্যটক এসে ভীড় জমায়। এ ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ২০৪২ মিটার। এই ব্রীজ নির্মাণের আগে সানফ্রান্সিসকো শহরে যেতে ফেরি পারাপারের ব্যবস্থা ছিল।