বিশ্বের ৮ ভুতুড়ে শহরের অদ্ভুত ছবি
ভুতুরে শহরের অস্তিত্ব আসলেই কী আছে? অনেকের মনে রয়েছে এই নিয়ে নানা প্রশ্ন। বিশ্বের ভুতুড়ে ৮ শহরের অদেখা ছবি নিয়ে এই অ্যালবাম সাজানো হয়েছে।
-
অ্যানি : তুরস্কের এই ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী অনেক পুরনো। মেডিয়াভেলিয়ান যুগের আর্মেনীয়দের গড়ে তোলা শহর। রাজপ্রাসাদ, সেনাদুর্গসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে এ শহরে। এখানেই বহু মানুষের বাস ছিল একটা সময়। কিন্তু আজ সবই খালি। লোকে বলে, এখন সেখানে ভূতের বাস।
-
প্রিপায়াত : ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে বেলারুশ সীমান্তে রয়েছে প্রিপায়াত শহর। চেরনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের সময় এই দ্বীপ শহরটি গড়ে ওঠে। কিন্তু ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল বিস্ফোরণের পর সব মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর থেকে শহরটি জনমানবশূন্য।
-
ভরশা : সাইপ্রাসের ফামাগাস্টা শহরের চার ভাগের এক ভাগ এলাকা ভরশা শহর নামে পরিচিত। ১৯৭৪ সালে এ শহরে আগ্রাসন চালায় তুরস্ক। এরপর থেকে ওই শহরে আর কোনো মানুষ বসবাস করে না। ফলে এক নিস্তব্ধ নগরীতে পরিণত হয়েছে ভরশা।
-
ওরাডার সুর গ্নেন : পশ্চিম-মধ্য ফ্রান্সের একটি গ্রামের নাম ওরাডার সুর গ্নেন। মানুষের অস্তিত্ব বলতে এখানে কিছু নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১০ জুন, ১৯৪৪ সালে জার্মান বাহিনীর আক্রমণে এখানকার সব মানুষ মারা গিয়েছিলেন। প্রায় ৭০ বছর ধরে গ্রামটি খা খা করছে।
-
হাশিমা দ্বীপ : এ বিরাট দ্বীপটি রয়েছে জাপানে। স্থানীয়রা দ্বীপটিকে গানকানজিমা নামে ডেকে থাকে। নাকাসাকি বিস্ফোরণের কারণে জাপানের যে ৫০৫টি দ্বীপ বসবাসের অনুপযোগী হয়েছে হাশিমা তার একটি। দ্বীপটি ভূতের দ্বীপ নামে পরিচিত।
-
কোলমানস্কোপ : দক্ষিণ নামিবিয়ার মরু অঞ্চলের পরিত্যক্ত শহর। জার্মান হিরে ব্যবসায়ীদের আস্তানা ছিল এক সময়ে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হিরার খনির অবক্ষয়ের পরে জনহীন বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে শুরু করে। পরে পুরো এলাকা মরুভূমিতে গ্রাস করে।
-
বানাক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানার এই শহরের পরিত্যক্ত হওয়ার গল্প একেবারেই পুরনো ওয়াস্টার্ন সিনেমার মতো। গোল্ড রাশের পরে পরিত্যক্ত হতে শুরু করে এই শহর।
-
কারকো : ইতালির জনপদ। এটি মধ্যযুগে জন্ম সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৬৩ সালের ভূমিকম্পে এটি পরিত্যক্ত হয়। পরে পরিচিতি পায় ভুতুড়ে শহর হিসেবে।