অযথা হর্ন বাজে না যে শহরে
সিঙ্গাপুরের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এ কারণে সেখানে পর্যটকরা ভিড় করেন বছরের বিভিন্ন সময়ে। জানলে অবাক হবেন, সিঙ্গাপুরে গণপরিবহন ব্যবস্থা বেশ উন্নত। এখানে অযথা কেউ হর্ন বাজান না। কমবেশি সবাই ট্রেন-বাসে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
-
শহরের বিভিন্ন স্থানের ট্রেন স্টেশন কিংবা বাসস্ট্যান্ড থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্য থেকে যাত্রীরা সহজেই ওঠেন পরিবহনে। আর বাস বা ট্রেনে উঠতেই একটি কার্ড পাঞ্চ করেন। আবার গন্তব্যে এসে গেলে পুনরায় কার্ড পাঞ্চ করে নেমে যান। সেখানে কোনো ক্যাশ টাকার লেনদেন নেই। এভাবেই চলছে পর্যটন প্রধান দেশ সিঙ্গাপুরের বাস ও ট্রেনের সার্ভিস। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হাজার হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন বাস ও ট্রেনে। সেখানকার বেশিরভাগ বাস দ্বিতল। পুরো সিঙ্গাপুর শহরের বিভিন্ন রুটে সড়কে চলছে নানা বাস। নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রীরা উঠে কর্মস্থলে যাওয়া-আসা করেন। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
কারো সঙ্গে কোনো কথা নেই, সবাই যার যার কাজে ছুটছেন। বাসে শুধু চালক আছেন, কোনো সহকারী নেই। আবার সড়কেও নেই কোনো যানজট, এমনকি ট্রাফিক পুলিশও। শুধু ট্রাফিক সিগন্যাল পড়লে গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। আবার শব্দদূষণ এড়াতে অযথা কেউ গাড়ির হর্নও বাজান না। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
সিঙ্গাপুরে ট্রেনকে এমআরটি ও এলআরটি বলা হয়। বাসের চেয়েও বেশি যাত্রী ট্রেনে আসা-যাওয়া করেন। এখানকার সব রেললাইন মাটির নিচে। শুধু এলআরটি কিছুটা উপরের লেনে চলাচল করে। একেকটি রেলস্টেশন যেন পর্যটনকেন্দ্র। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
কোন ট্রেন কখন, কত মিনিটে আপনার সামনে এসে পৌঁছাবে তা সেখানে দাঁড়িয়ে বড় স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। ট্রেন স্টেশনে থামানোর পর মুহূর্তে শত শত যাত্রী নেমে যাচ্ছেন। আবার চোখের পলকে শত শত যাত্রী টেনে উঠে পড়ছেন। ট্রেনের প্রতিটি বগিতে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা আছে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন