স্মৃতিতে রানি দ্বিতীয় এলিজবেথ
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। লন্ডনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস।
-
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসন অলংকৃত করে রাখা দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। কয়েক মাস আগেই তার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উদযাপন করা হয়েছিল।
-
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তার সমস্যা হচ্ছিল। ছবি: সংগৃহীত
-
রানির সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্তি (প্লাটিনাম জুবিলি) উদ্যাপনের সময় লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দায় দাঁড়ান প্রিন্স চার্লস, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, ডাচেস অব কেমব্রিজ ক্যাথরিন মিডলটন, প্রিন্সেস শার্লট ও প্রিন্স লুইস। ছবি: সংগৃহীত
-
১৯৫২ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক ঘটে। ছবি: সংগৃহীত
-
৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে ছিলেন তিনি। দীর্ঘ এই বর্ণিল জীবনে ব্রিটেনের সমাজ ও রাজনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। তার মৃত্যুতে রাজ পরিবারে দীর্ঘ এক শাসনের সমাপ্তি ঘটলো। ছবি: সংগৃহীত
-
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের ইতিহাসে অন্য যে কোনো শাসকের চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিংহাসনে আসীন ছিলেন। সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে যারা শাসনকাজ পরিচালনা করেছেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলতি বছরের জুনে চার দিনের বিশাল আয়োজন করে রাজ পরিবার। ছবি: সংগৃহীত
-
তার আগে কোনো ব্রিটিশ শাসকেরই টানা সাত দশক সিংহাসনে আসীন থাকার ইতিহাস নেই। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম ২১ এপ্রিল ১৯২৬ সালে। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ছবি: সংগৃহীত
-
এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের রাজা হন। এলিজাবেথ ছিলেন তখন ব্রিটিশ সিংহাসনের একমাত্র উত্তরাধিকারী। ষোল বছর বয়সে তিনি প্রথম জনসম্মুখে আসেন। আঠার বছর বয়সে সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করেন। ১৯৫২ সালের ফেব্রæয়ারি মাসের ব্রিটিশ রাজা ষষ্ঠ জর্জ মৃত্যুর পর এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন। ছবি: সংগৃহীত
-
এরপর ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর যুবরাজ ফিলিপের সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে দ্য টেলিগ্রাফের মতে, ফিলিপের সঙ্গে এলিজাবেথের প্রথম বাগদান সম্পন্ন হয় ১৯৪৬ সালে। যদিও ১৯৪৭ সালের পহেলা এপ্রিল এলিজাবেথ ২১ বছরে পদার্পণের পর সেটি স্বীকৃতি পায়। ছবি: সংগৃহীত
-
রানি এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ দুজন দুজনকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। দীর্ঘ এই শাসনামলে এলিজাবেথের সবচেয়ে কাছের মানুষ, তার প্রিয় সঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। ‘ডিউক অব এডিনবারা’ খেতাবধারী প্রিন্স ফিলিপ ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে মারা যান। তার মৃত্যুতে একা হয়ে পড়েন রানি। তাদের প্রেম কাহিনী নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই। ছবি: সংগৃহীত
-
রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন একবার বলেছিলেন, সারাবিশ্বে প্রিন্স ফিলিপ একমাত্র মানুষ যিনি রানিকে অন্য একজন মানুষ হিসেবে দেখেন, সেভাবেই আচরণ করেন। একমাত্র তিনিই এটা করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
-
তাদের ছিল প্রেমের বিয়ে। তারা দুজন দুজনকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দেখা হয়েছিল বিয়ের অনেক আগেই। ডার্টমথ নেভাল কলেজে ১৯৩৯ সালে তোলা একটি ছবি দেখে বোঝা যায় রাজকীয় এই প্রেম-প্রণয়ের সূচনা তখন থেকেই। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপ তখন ১৮ বছরের সুদর্শন চনমনে নেভাল ক্যাডেট। বাবা-মার সঙ্গে ওই কলেজে সফরে গিয়ে ১৩ বছরের রাজকুমারী এলিজাবেথের নজর কাড়েন তিনি। কৈশোরের সেই আকর্ষণ ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে রূপ নেয়। দুজন দুজনকে চিঠি লিখতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হঠাৎ মাঝেমধ্যে দেখাও হতো দুজনের। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপ যখন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর হয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন, রাজকুমারী তার ঘরে প্রিন্স ফিলিপের একটি ছবি রেখেছিলেন। গ্রিস এবং ডেনমার্কের এই রাজকুমারের ছেলেবেলা ছিল অনেকটা যাযাবরের মতো। ছবি: সংগৃহীত
-
তার জন্ম গ্রিসের রাজপরিবারে, কিন্তু নির্বাসিত হওয়ায় ইউরোপের এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরতে হয়েছে তাকে। এ কারণে অল্প বয়স থেকে তিনি ছিলেন অনেক স্বাবলম্বী এবং শক্ত মনের। রাজকুমার হলেও রাজপ্রাসাদের ছায়া তার ওপর ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
-
রাজকুমারী এলিজাবেথ ছিলেন ঠিক তার বিপরীত। তার জন্ম এবং বড় হওয়া ছিল রাজপ্রাসাদের সুরক্ষিত বেষ্টনীর ভেতর। বাইরের জীবনের বাস্তবতার সাথে তার পরিচয় ছিল খুবই সামান্য। চুপচাপ লাজুক স্বভাবের ছিলেন তিনি। যে কোনো বিষয় নিয়ে অনেক ভাবতেন। ফলে ভিন্ন প্রকৃতির হলেও তারা দুজন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
-
রাজকুমারীর বয়স যখন ২০ বছর, প্রিন্স ফিলিপ বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার এক বছর পর ১৯৪৭ সালে এলিজাবেথের ২১তম জন্মদিনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাগদানের কথা প্রকাশ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে গির্জায় দুই হাজার অতিথির সামনে তাদের বিয়ে হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে মাত্র দুবছর আগে। ব্রিটেন তখনও সেই ধাক্কা সামলাতে বিপর্যস্ত। সেই কঠিন সময়ে তাদের বিয়ে নিয়ে অনেকদিন পর ব্রিটিশরা উৎসব করেছিলেন। উইনস্টন চার্চিল তাদের বিয়ে সম্পর্কে বলেছিলেন, এই কঠিন সময়ে এ যেন এক রঙের ঝলকানি। ছবি: সংগৃহীত
-
১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন রানি এলিজাবেথ। ছবি: সংগৃহীত