যেসব বিধ্বংসী অস্ত্র আছে চীনের কাছে
এখনও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধর চলছে। এরই মধ্যে চীন-তাইওয়ান ইস্যুতে নতুন অস্থিরতা তৈরির আভাস দেখা যাচ্ছে। চীন তা শক্তি পদর্শনের জন্য তাইওয়ানের চারশাপে সামরিক মহড়া শুরু করায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে। আলোচনা শুরু হয়েছে চীনের সামরিক শক্তি নিয়ে এবার জেনে নিন চীনের কাছে যেসব বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে।
-
গোটা দুনিয়া যখন একটি যুদ্ধের সাক্ষী থাকছে সেই সময় বিশ্বের অন্য দুই বৃহৎ শক্তির কূটনৈতিক সম্পর্ক তপ্ত হয়ে ওঠায় নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। কারণ ন্যান্সি প্যালোসির তাইওয়ান সফরের দিনেই চীনের ফুজিয়ানের ব্যস্ত রাস্তায় নামানো হয়েছে ট্যাঙ্ক। ‘ইয়িন সুরা’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে চীনা ট্যাঙ্কের ওই ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, প্যালোসির তাইওয়ান সফরের দিনেই তাইওয়ান সীমান্তে সেনা সমাবেশ করতে শুরু করেছে চীন। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনের শক্তিশালী পদাতিক সেনা আছে। চীনের রয়েছে প্রচুর ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি। কিন্তু চীনের শক্তি হচ্ছে তার শক্তিশালী নৌবহর। সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, চীনা নৌবহর দুনিয়ায় সর্ববৃহৎ। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনা নৌবহরে রয়েছে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি ওই যুদ্ধজাহাজে ৪০-৬০টি বিমান থাকতে পারে। থাকতে পারে হেলিকপ্টারও। চীনা ওই বিমানবাহী জাহাজের নাম ফুজিয়ার টাইপ ০০৩ এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০৪০ সালের মধ্যে চীনা নৌবহরের আকার আরও ৪০ শতাংশ বাড়বে। চীনের বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে রয়েছে জলসীমা। সে কারণেই নৌবহরের আয়তন বৃদ্ধিতে বিশেষ জোর দিয়েছে বেজিং। ছোট-বড় নানা আকারের নৌবহর রয়েছে চীনের হাতে। রয়েছে আকাশ এবং পানিতে চলতে পারে এমন উভচর বিমান। রয়েছে নানা শ্রেণির ডুবোজাহাজ এবং বিমান নামার জন্য বিশেষ ধরনের যুদ্ধজাহাজ। ছবি: সংগৃহীত
-
আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে চীন পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা অন্তত চার গুণ বাড়িয়ে ফেলবে। যার অর্থ ওই সময়ের মধ্যে বেজিংয়ের হাতে থাকবে হাজার খানেক নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড। ছবি: সংগৃহীত
-
সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, হাইপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে জোর দিয়েছে চীন। লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক জিনো লিওনির মতে, ‘পিছিয়ে’ আছে জেনে বেজিং অন্যান্য অস্ত্রের মতো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতেও ‘বড়সড় লাফ’ দিতে চাইছে। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনের হাতে কী কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা নিয়ে স্পষ্ট তথ্য নেই বলেই সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মত। কারণ শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা অস্বীকার করেছে বেইজিং। তবে গত বছর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় স্পষ্ট চীনের হাতে ঘণ্টায় ১২ হাজার ১৬৯ কিলোমিটার গতিবেগে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রযুক্তি এসে গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
-
মনে করা হচ্ছে দুধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তাদের হাতে রয়েছে। একটি হাইপারসনিক গøাইড ক্ষেপণাস্ত্র, যা অনেক উঁচু দিয়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। অপরটি ফ্র্যাকশনাল অরবাইটাল বম্বার্ডমেন্ট সিস্টেম (এফওবিএস), যা নিচু কক্ষপথে উড়ে গিয়ে আঘাত হানে। ছবি: সংগৃহীত
-
মনে করা হয় ‘রেলগান’ নামক একটি অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হয়েছে চীন। যা আসলে দুটি রেললাইনের উপর বসানো একটি দৈত্যাকার বন্দুক। তড়িৎচৌম্বকীয় শক্তির মাধ্যমে সেই বন্দুক থেকে বুলেট ছোড়া হয়, যার আকার একটি গোলার মতো। ওই বুলেট শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে দৌড়ায়। চীনের হাতে ‘রেলগান’ বসানো যুদ্ধজাহাজ রয়েছে বলেই সমরবিদদের একটা বড় অংশের মত। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনের হাতে রয়েছে ‘মাদার অব অল বম্ব’। যা বোমারু বিমান থেকে ফেলা যাবে। তবে এ নিয়ে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনের হাতে রয়েছে যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসকারী ‘ক্যারিয়ার কিলার’ ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধে নৌবহর ধ্বংস করতে ওই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র কার্যকরী বলেই যুদ্ধবিশারদদের মত। ছবি: সংগৃহীত
-
রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে এমন ড্রোন রয়েছে চীনের হাতে। যার নাম ‘স্টেলথ ড্রোন’। ছবি: সংগৃহীত
-
রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে এমন যুদ্ধবিমানও রয়েছে চীনের হাতে। যার নাম ‘স্টেলথ ফাইটার’। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনের হাতে রয়েছে দুনিয়ায় সর্ববৃহৎ উভচর বিমান। যা আকাশ এবং জল দুই জায়গাতেই চলতে পারে। যা সাধারণত বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই বিমানের নাম এজি-৬০০। ছবি: সংগৃহীত
-
‘সোনালি ঈগল’ চীনের আরও এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র। ‘সিআর-৫০০ গোল্ডেন ঈগল’ নামে মানববিহীন ওই হেলিকপ্টার ড্রাগনের সুরক্ষায় নিযুক্ত। ছবি: সংগৃহীত
-
‘সোনালি ঈগল’ চীনের আরও এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র। ‘সিআর-৫০০ গোল্ডেন ঈগল’ নামে মানববিহীন ওই হেলিকপ্টার ড্রাগনের সুরক্ষায় নিযুক্ত। ছবি: সংগৃহীত
-
সম্প্রতি চীন দাবি করেছে, সেনা বাঙ্কার ধ্বংস করার মতো বোমা তাদের হাতে রয়েছে। যা আগের থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি ক্ষমতাশালী। ছবি: সংগৃহীত
-
৯০ ডিগ্রি কোণে গুলি ছোড়া যেতে পারে এমন আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে চীনের হাতে। কোনো বিশেষ অভিযানে ওই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
যুদ্ধ মানে শুধুমাত্র সংঘাত নয়। যুদ্ধের সঙ্গে মিশে রয়েছে সামরিক কৌশলও। যুদ্ধবিদদের ধারণা, চীনা সমরসজ্জার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) ব্যবহার। মিলিটারি রোবোটিকস এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ওই প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে চীন। ছবি: সংগৃহীত