যেভাবে তৈরি হয় কাশ্মীরের গোলাপি চা
হঠাৎ করে আলোচনায় এসেছে কাশ্মীরি গোলাপি চা। ভারতের কাশ্মীরে এটি জনপ্রিয় হলেও এখন বিশ্বের কয়েকটি দেশে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
-
স্বাদে-গন্ধে সাধারণ চায়ের মতো নয়। তবে লাহোরের বনেদি ক্যাফে হোক বা ম্যানহাটনের অভিজাত টি-শপ, সবখানেই ঝড় তুলছে কাশ্মীরের গোলাপি চা। কাশ্মীরের উপত্যকা ছাড়িয়ে তা পাড়ি দিয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান, চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। এমনকি আমেরিকাতেও গোলাপি চায়ে চুমুক দিচ্ছেন অনেকে। কীভাবে তৈরি হয় এই চা? কালো বা দুধসাদার বদলে এটি গোলাপি রং-ই বা হলো কীভাবে? ছবি: সংগৃহীত
-
হিমালয়ের উপত্যকা ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বহু রান্নাঘরেই তৈরি হচ্ছে গোলাপি চা। অনেকের কাছে তা ‘লবণ-চা’। কেউ বা আবার একে চেনেন ‘গুলাবি চা’ বলে। কাশ্মীরের স্থানীয়দের মতে, গোলাপি চা-পানে বেশ উপকারিতাও রয়েছে। এতে মূল উপকরণ বলতে গ্রিন টি, নুন এবং বেকিং সোডা। চায়ে নুন থাকার ফলে তা পান করলে পাহাড়ি এলাকায় ডিহাইড্রেশন কম হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
গোলাপি চায়ে লবণ এবং বেকিং সোডা ছাড়াও আর কী কী উপকরণ রয়েছে? অনেকে এই চায়ে আধভাঙা বাদাম ছড়িয়ে দেন। ছবি: সংগৃহীত
-
যারা এখনও গোলাপি চায়ে চুমুক দিতে পারেননি, তাদের জন্য এর স্বাদ বর্ণনা করা যাক! খানিকটা তেতো হলেও তাতে রয়েছে নোনতা ভাব। ফলে ফি দিনের লিকার টি, বা দুধ-চিনি দিয়ে চায়ে চুমুক দিতে অভ্যস্তদের কাছে এটি অবশ্যই অন্য স্বাদের মনে হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
গোলাপি চায়ের স্বাদ যেমন অপরিচিত, তা তৈরির পদ্ধতিও আলাদা মনে হতে পারে অনেকের। প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানিতে গ্রিন টি এবং এক চিমটে বেকিং সোডা দিয়ে বেশ অনেকক্ষণ ধরে ফোটাতে হবে। বেকিং সোডার জেরেই চায়ের রং গোলাপিতে পরিণত হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে তা হয় না। গ্রিন টিতে বেকিং সোডা দিয়ে পানি ফোটালে তা রং বদলে প্রথমে পীতাভ বাদামি রঙের হয়ে যায়। এরপর চায়ে গাঢ় মেরুন রং ধরতে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
গোলাপি চা তৈরি করতে যেমন পাকা হাতের প্রয়োজন, তেমন এর পিছনে বিজ্ঞানও রয়েছে। বৈজ্ঞানিকেরা জানিয়েছেন, হালকা অ্যাসিডিক এই চায়ে অম্লরোধে সাহায্য করে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (বেকিং সোডা)। সেই সঙ্গে এর কষাটে ট্যানিনের ঝাঁঝও কমিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
-
গোলাপি চায়ের রং কী করে পরিবর্তিত হয়? জানা গেছে, কাশ্মীরি চায়ে পলিফেনল অনেকটা ফেনোলসালফথালেইন-এর মতো কাজ করে। যেটি ফেনল রেড বলেও পরিচিত। চায়ের রং বদলে গেলে সেই রং ধরে রাখতে পাত্রে বরফ বা ঠান্ডা পানি ঢালা হয়। এরপর তাতে দুধ মেশালে গোলাপি রং দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
চায়ের রং বদল হওয়ামাত্রই সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবেশন করা হয় না। এরপরেও চা তৈরি বাকি। এবার একটি হাতায় এই পানীয় ভরে তা চায়ের পাত্র থেকে অন্য পাত্রে বার বার উঁচু-নিচু করে ঢালা হয়। বারবার একই পদ্ধতিতে চা ঢালার ফলে তাতে বাতাস ঢুকে বেশ ফেনা ফেনা হয়ে ওঠে। অনেকটা কফি মেশিনে তৈরি কফির মতো। ছবি: সংগৃহীত
-
গোলাপি চা তৈরি করতে কতটা সময় লাগে? লন্ডনের এক চা-বিক্রেতার দাবি, পানীয় তৈরির পর তা হাতায় ভরে উঁচু-নিচু করে চার ঘণ্টা ধরে বারবার ঢালা না হলে এর আসল স্বাদই পাওয়া যাবে না! ছবি: সংগৃহীত