স্মৃতির অ্যালবামে প্রিন্স ফিলিপ
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। ‘ডিউক অব এডিনবারা’ খেতাবধারী এই যুবরাজের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। তিনি ব্রিটিশ রাজভবন উইন্ডসর ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জেনে নিন তার জীবনে আলোচিত কিছু অধ্যায়।
-
প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন গ্রিসের এক রাজপরিবারের সন্তান। বিপ্লবীদের অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় তার পরিবারকে। তারা আশ্রয় পান ইংল্যান্ডে। নৌবাহিনীর ক্যাডেট হিসেবে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যত রাণী প্রিন্সেস এলিজাবেথের মন জয় করেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপের বাবা ছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু যিনি হেলেনস এর রাজা প্রথম জর্জের ছেলে। আর মা ছিলেন ব্যাটেনবার্গের প্রিন্সেস অ্যালিস। ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের মাউন্টব্যাটেনরা ছিলেন তার মায়ের দিকের আত্মীয়। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপের জন্ম সনদে লেখা জন্ম তারিখ আর প্রকৃত জন্ম তারিখ এক নয়। জন্ম সনদে প্রিন্স ফিলিপের জন্ম তারিখ লেখা আছে ১৯২১ সালের ২৮ মে। যদিও তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯২১ সালের ১০ জুন। গ্রিসে তখনও পর্যন্ত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ না করাই এই এই গরমিলের কারণ। ছবি: সংগৃহীত
-
১৯২২ সালে গ্রিসে এক অভ্যুত্থানের পর রাজপরিবার তাদের ক্ষমতা হারায়। বিপ্লবীরা তাদের সেখান থেকে নির্বাসনে পাঠায়। ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে পুরো পরিবারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ফ্রান্সে। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপের মা পরবর্তী জীবনে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাকে একটি মানসিক রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মায়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল খুবই কম। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথের প্রথম দেখা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে। তখন প্রিন্সেস এলিজাবেথের বয়স মাত্র ১৩। রাজা ষষ্ঠ জর্জ এসেছিলেন ডার্টমুথ কলেজ সফরে। সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্সেস মার্গারেট। তখন প্রিন্স ফিলিপ সেখানে নৌবাহিনীর এক তরুণ ক্যাডেট। এই দুজনকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয় প্রিন্স ফিলিপের ওপর। ছবি: সংগৃহীত
-
সুদর্শন প্রিন্স ফিলিপ এই সময় প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে গভীর ছাপ রাখতে সক্ষম হন। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেম এবং চিঠি চালাচালি শুরু হয়। প্রিন্স ফিলিপ বেশ কয়েকবার রাজপরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য আমন্ত্রিত হন। সেসময় প্রিন্সেস এলিজাবেথের ড্রেসিং টেবিলে শোভা পেত প্রিন্স ফিলিপের ছবি। ছবি: সংগৃহীত
-
১৯৪৩ সালে প্রিন্স ফিলিপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাদের বিয়েতে রাজপরিবারের কেউ কেউ আপত্তি তুলেছিলেন। প্রিন্স ফিলিপকে ‘রুক্ষ এবং অভদ্র’ বলেও বর্ণনা করেছিলেন এরা। ঝামেলা বেধেছিল জাতীয়তা নিয়েও। তাদের বাগদানের আগে প্রিন্স ফিলিপকে তার গ্রিসের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হয়। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণের পর তিনি তার নাম পাল্টে মাউন্টব্যাটেন রাখেন। এটি ছিল তার মায়ের দিকের পদবি। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপ এবং প্রিন্সেস এলিজাবেথের বিয়ে হয় ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর। তাদের বিয়ের পর অভিনন্দন জানিয়ে বাকিংহাম প্যালেসে এসেছিল দশ হাজারের বেশি টেলিগ্রাম। সারা দুনিয়া থেকে পাঠানো হয় প্রায় আড়াই হাজার উপহার। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রিন্স ফিলিপ প্রকৃতি এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে তার কাজের জন্য পরিচিত। কিন্তু ১৯৬১ সালে ভারত সফরে গিয়ে তিনি একটি বাঘ শিকার করেন এবং সেই বাঘের সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন। এ নিয়ে সেসময় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
-
বাবা হিসেবে প্রিন্স ফিলিপ নাকি ছিলেন বেশ কড়া মেজাজের। বাবার ধমক খেয়ে ছোটবেলায় প্রিন্স চার্লসকে প্রকাশ্যে কাঁদতেও নাকি দেখা গেছে। পুত্রবধূ প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে তার ব্যবহার নিয়েও অনেক রকম কথা চালু ছিল। ডায়ানার প্রেমিক দোদি আল ফায়েদের বাবা মোহাম্মদ আল ফায়েদ অভিযোগ করেছিলেন ডায়ানাকে প্রিন্স ফিলিপের নির্দেশে হত্যা করা হয়। কিন্তু এই অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি সরকারি তদন্তে। ছবি: সংগৃহীত