বাঁশ চাষ করে কোটিপতি
অভাবের কারণে দেনায় জর্জরিত হয়ে ব্যর্থতার উপাধি পেয়ে রাজশেখর বাঁশ চাষ শুরু করেন। এখন তিনি সবার দেনা পরিশোধ করে কোটিপতি।
-
তার নাম রাজশেখর পাতিল। তার গ্রামে তিনি পরিচিত বাঁশ চাষি হিসাবে। এক সময়ে দেনায় ডুবে থাকা ভারতের এই নাগরিক শুধু বাঁশ চাষ করে আজ কোটিপতি। ছবি: সংগৃহীত
-
বছরে তিনি অন্তত ১ কোটি টাকা আয় করেন বাঁশ চাষ থেকে। তার উপর চাষের জমিতে ফল, সবজির মতো অন্যান্য ফসল তো রয়েছেই। ছবি: সংগৃহীত
-
‘রাজশেখর পাতিল বাম্বু’ নামে তার একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। তার গ্রাহক সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি। কীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ চাষ করে সাফল্য পাওয়া যাবে তা শেখান তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
আজ গ্রামের সকলেই তার প্রশংসা করছে। কিন্তু একটা সময় এমন ছিল যখন তাকে নিয়ে সবাই ঠাট্টা করতেন। ‘ব্যর্থ’ হিসাবে দাগ পড়ে গিয়েছিল তার নামের সামনে। ছবি: সংগৃহীত
-
রাজশেখরের জন্ম ভারতের মহারাষ্ট্রের খরা কবলিত অঞ্চল নিপানি গ্রামে। নিপানির অর্থই হলো পানিহীন। তাদের গ্রামে প্রবল পানি সঙ্কট ছিল। তার বাবাও একজন চাষি ছিলেন।
-
কিন্তু পানির সঙ্কট থাকায় চাষাবাদ ছিল ব্যয়বহুল। এক সময়ে ১০ লাখ টাকা দেনা করে ফেলেছিলেন তার বাবা। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই দেনা শোধ করতে পারেননি তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
রাজশেখর তখন পড়াশোনা করছেন। দেনার ভার মাথায় নিয়েই তিনি পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় যোগ দেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বেতন পেতেন। তবে এখন তিনি বাঁশ চাষ করে সফল। ছবি: সংগৃহীত
-
পরে তার বেতন বেড়ে হয় ৬ হাজার টাকা। কিন্তু দেনা শোধ করার জন্য এই টাকা যথেষ্ট ছিল না। তিনি ২৭ বছরের হলে পরিবারের হাল ধরার জন্য বাবা-মা তাকে গ্রামে ডেকে পাঠান। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রথমে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসার হওয়ার। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এরপর তাদের ১৬ একর জমিতে ফলের চাষ শুরু করেন। ছবি: সংগৃহীত
-
ফল চাষ ছিল লাভজনক। আম, জাম, সফেদার চাষ করতেন তিনি। তা থেকে দৈনিক ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় হত। ছবি: সংগৃহীত
-
বাঁশ গাছের খুব একটা পরিচর্যাও করতে হয় না। চাষে পানিও খুব কম লাগে। পানি সঙ্কটের গ্রামে তাই বাঁশ চাষই হয়ে ওঠে তার কাছে আদর্শ। ঋণে ডুবে থাকা রাজশেখর আজ কোটিপতি। প্রতি বছরে বাঁশ চাষ থেকেই অন্তত ১ কোটি টাকা আয় করেন তিনি। তার নাম লোকের মুখে মুখে ফেরে। গ্রামবাসীরা এখন ‘ব্যর্থ’ রাজশেখরের কাছে বাঁশ চাষের পাঠ নিতে আসেন। ছবি: সংগৃহীত