একনজরে বিশ্বের দীর্ঘতম ১০ সেতু
নদী, সমুদ্র, হ্রদ বা খালবিল, পর্বতে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মানব সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সেতু। এটি সড়ক সেতু, রেল সেতু বা উভয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্নও হতে পারে। জলাশয় বা পাহাড়ি খাদের দুই প্রান্তে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই সেতু। একইসঙ্গে ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনতেও ভূমিকা রাখে।
-
পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের সাংহাই এবং নানজিং-এর মধ্যবর্তী রেল লাইনে অবস্থিত দায়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ। এটি ছাং চিয়াং নদীর বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত যেখানকার ভূপ্রকৃতিকে নিম্নভূমির ধানীজমি, খাল, নদী এবং হ্রদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ১০০ মাইলের বেশি (১৬৫ কি.মি.) দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতু। সাড়ে ৮০০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটি চালু করা হয় ২০১১ সালে। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘ সেতু হলো তাইওয়ানের চংহুয়া-কাওশিউং ভায়াডাক্ট। এটিও একটি রেলসেতু, যা তাইওয়ানের উচ্চ গতির রেল নেটওয়ার্কের অংশ। এ সেতু দৈর্ঘ্যে ৯৭ মাইল (বা ১৫৭ কিলোমিটার)। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সেতু কাংদে গ্র্যান্ড ব্রিজও চীনে অবস্থিত। এই রেলসেতুটির দৈর্ঘ্যে ৭২ মাইল (১১৬ কিলোমিটার)। রাজধানী বেইজিং হয়ে যাত্রী পরিবহনের প্রধান রেলপথের অংশ এটি। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশ্বের চতুর্থ দীর্ঘতম সেতু তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজ। এই রেলসেতুটি চীনের হেবেই প্রদেশের তিয়ানজিনে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্যে ৭০ মাইল (বা ১১৩ কিলোমিটার)। ছবি: সংগৃহীত
-
২০০৮ সালে চালু করা ৪৯ মাইল দৈর্ঘ্যের ওয়েইনান ওয়েইহে গ্র্যান্ড ব্রিজটি সেসময়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর রেকর্ড করেছিল। কয়েকটি নদীর ওপর নির্মিত হওয়ায় যাত্রার সময় কমিয়ে এনে এটি চীনের জেংঝৌ ও জিয়ান শহরের মধ্যে রেলযোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ছবি: সংগৃহীত
-
২০১৮ সালের অক্টোবরে বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু হংকং-জুহাই-ম্যাকাও ব্রিজ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তারের মাধ্যমে ভারবহনকারী তিনটি সেতু, সমুদ্রের নিচ দিয়ে নির্মিত একটি সুড়ঙ্গ ও চারটি কৃত্রিম দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই সেতু চীনের উপকূলীয় হংকং, জুহাই ও ম্যাকাও এর মতো বড় শহরগুলিকে যুক্ত করেছে। ৩৪ মাইল দৈর্ঘ্যের এই সেতু সমুদ্র পারাপারের এবং উন্মুক্ত সাগরের ওপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু। ছবি: সংগৃহীত
-
বাং না এক্সপ্রেসওয়ে বিশ্বের সপ্তম দীর্ঘ সেতু হলেও, এটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম মোটরকার চলাচলের সেতু বলাই যায়। ৩৪ মাইল দৈর্ঘ্যের বাং না এক্সপ্রেসওয়ে একটি ছয় লেনের উড়াল সড়ক। এই সেতু ব্যবহার করে ব্যাংককের যানজট এড়িয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের দক্ষিণে অবস্থিত বেইজিং গ্র্যান্ড ব্রিজ সেতুটিও বেইজিং-সাংহাই হাই স্পিড রেলওয়ের অংশ। ২০১১ সালে চালু করা সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মাইল (৪৮ কিলোমিটার)। চীনের পূর্ব উপকূলের বোহাই অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ইয়াংজে নদীর অববাহিকা অঞ্চলকে যুক্ত করতে এটি নির্মিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা রাজ্যের লেক পন্টচারট্রেইন কজওয়ে। প্রায় ২৪ মাইল (বা ২৯ কিলোমিটার) এই সেতু এদিক থেকে নবম অবস্থানে। একই দৈর্ঘ্যের পাশাপাশি দুটি সেতু নিয়ে গঠিত লেক পন্টচারট্রেইন কজওয়ে ১৯৫৬ ও ১৯৬৯ সালে উদ্বোধন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে চলাচলের জন্য রয়েছে এর একটি উড়াল মেট্রোরেল পথ, যাকে একেবারেই সাদামাটাভাবে লাইন-১ নামকরণ করা হয়েছে। লাইন-১ বিশ্ব রেকর্ডধারী সেতুও। দৈর্ঘ্যে ২৩.৫ মাইল এই সেতু শুধু বিশ্বের দশম দীর্ঘ সেতুই নয়, একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ মেট্রোরেল ভায়াডাক্ট। ছবি: সংগৃহীত