রাশিয়া যে অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণ করছে
পুরো বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি এখন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর। বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালায় রাশিয়া। জেনে নিন রাশিয়া যে অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন আক্রমণ করছে।
-
ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বিতর্কের মাঝে রাশিয়া হামলা চালাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও ইউক্রেনের উপর আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার সামরিক সজ্জার ঝড়। ছবি: সংগৃহীত
-
নিজেদের এবং বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্র থেকে পাওয়া সামরিক অস্ত্র নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেনও। ছবি: সংগৃহীত
-
যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে মর্টার— বারুদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে ইউক্রেনের আকাশে। আকাশপথে তো বটেই, স্থলপথেও সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী দেশ রাশিয়া। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রশ্ন হলো, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে নিজেদের অস্ত্রভান্ডার থেকে সম্ভব্য কোন কোন সামরিক অস্ত্রসজ্জা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে রাশিয়া? কোন অস্ত্রেরই বা জোর অন্যের থেকে বেশি! ছবি: সংগৃহীত
-
ভোলোদিমির বনাম ভ্লাদিমিরের মধ্যে শুরু হওয়া এই সংঘাতে রাশিয়ার প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে, শক্তিশালী অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক ‘টি-৯০’। বিশ্বের সামরিক শক্তির ইতিহাসে অন্যতম বিশ্বস্ত যুদ্ধ ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত টি-৯০ সামরিক ট্যাঙ্ক। ছবি: সংগৃহীত
-
বার বার এই ট্যাঙ্ক যে কোন প্রকারের সামরিক সংঘাতের জন্য উপযুক্ত বলেই প্রমাণিত হয়েছে। টি-৯০ ট্যাঙ্কটি দাগেস্তান, সিরিয়াসহ একাধিক সামরিক সংঘাতের সাক্ষী। ছবি: সংগৃহীত
-
টি-৯০ ট্যাঙ্কটি এর আগের টি-৭২ ট্যাঙ্কের আধুনিক রূপ। ছবি: সংগৃহীত
-
বহু বছর ধরে বারবার বিভিন্ন ট্যাঙ্কের আধুনিকীকরণের বর্তমান রূপ হলো টি-৯০। বর্তমানে প্রায় ৭৫০ থেকে ১০০০ ‘টি-৯০’ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক রয়েছে। এই যুদ্ধ ট্যাঙ্কের সবচেয়ে চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হলো কনট্যাক্ট-৫ বিস্ফোরক বর্মের উপস্থিতি। এই বর্ম শত্রুর অস্ত্রের হাত থেকে ট্যাঙ্কগুলোকে রক্ষা করে। ছবি: সংগৃহীত
-
এই ট্যাঙ্কের মধ্যে থাকা ইনফ্রারেড সংকেতগুলো বিপদকে আগে থেকেই মেপে নিতে পারে। বিপদের সংকেত পাওয়ার পরই এই ট্যাঙ্ক নিজেদের ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে ফেলে, যাতে শত্রু অস্ত্র তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকতে পারে। এ ছাড়াও আধুনিক সমস্ত অস্ত্রের দ্বারাই সজ্জিত থাকে এই টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলো। ছবি: সংগৃহীত
-
সাঁজোয়া গাড়িতে বসানো কোয়াল্টসিয়া হাউইত্জার আর একটি আধুনিক কামান। যার মাধ্যমে সহজেই ইউক্রেনের সামরিক শক্তির উপর আছড়ে পড়তে পারে রাশিয়া। ১৫৫ মিলিমিটারের এই কামান প্রতি মিনিটে ১৬টি গোলা ছুড়তে পারে। এবং কামানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গোলা ভরারও ব্যাবস্থা রয়েছে এই কামানে। ছবি: সংগৃহীত
-
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সুরক্ষিতভাবে সেনা সদস্যদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম ‘রাকুশকা’ সামরিক যান। ছবি: সংগৃহীত
-
অত্যাধুনিক অস্ত্র দ্বারা সুসজ্জিত সেনা গাড়িটি আকাশ থেকে অবতরণের পর প্যারা ট্রুপার বাহিনীকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সাহায্য করে। এই সামরিক যান সর্বাধিক ১৩ সেনা সদস্যকে নিয়ে যাতায়াত করতে পারে। এই গাড়িতে ৭.৬ মিলিমিটার গুলি যুক্ত স্বয়ংক্রিয় বন্দুক ছাড়াও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ মিলিমিটারের গ্রেনেড ছোড়ার ব্যবস্থা আছে। ছবি: সংগৃহীত
-
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে অন্যতম মারাত্মক অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে রাশিয়ার উরাগান রকেট লঞ্চার। উরাগান রকেট লঞ্চার একসঙ্গে একাধিক রকেট নিক্ষেপ করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
উরাগান মোট ১২টি লঞ্চার টিউব রয়েছে, এবং লঞ্চার টিউবে থাকা ৩০০ মিলিমিটার লম্বা রকেটগুলোতে প্রায় ২৮৫ কিলোগ্রামের বিস্ফোরক থাকতে পারে। উরাগান থেকে নিক্ষেপ করা রকেটগুলো সর্বাধিক ৫৫ মাইল অবধি ছুটে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
ইস্কান্দর ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রও ইউক্রেনের জন্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেতে পারে। স্বল্পপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি ট্রাকের উপরে চাপানো থাকে। প্রতিটি ট্রাকে দুটি করে ইসকান্দর ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে। ১৬ মিনিট পর পর এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
রাশিয়ার কাছে মোট ১৩৬টি ইস্কান্দর ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ইউক্রেনকে সন্ত্রস্ত করার পক্ষে যথেষ্ট বলেও মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। বড় বড় সেনা ছাউনি পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দিতে পটু এই ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত