শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র স্মৃতি
কবিগুরুর অমর কীর্তি শান্তিনিকেতন। এর একটি এলাকার নাম ‘উত্তরায়ণ’। এটি আশ্রমের উত্তরদিকে অবস্থিত বলে এই নাম। মূলত পাঁচটি বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠেছে উত্তরায়ণ এলাকা। বাড়ি পাঁচটি হলো: কানার্ক, উদয়ন, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচী। উল্লেখিত পাঁচটি বাড়ি ছাড়াও রয়েছে চিত্রভানু-গুহাঘর এবং বিচিত্রা বাড়ি। এর মধ্য থেকে শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচীর ছবি দেখুন।
-
শ্যামলী: কোনার্ক বাড়ির পূর্বদিকে যে মাটির বাড়িটি রয়েছে, তারই নাম ‘শ্যামলী’। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে মে মাসে জন্মদিনের শুভক্ষণে শ্যামলীতে প্রবেশ করেন কবি। বাড়ির দেওয়াল মাটির, ছাদও মাটির। এই বাড়িতে নানা সময়ে থেকেছেন-গান্ধীজী, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, মাদার তেরেসাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ছবি: জাগো নিউজ
-
উদীচী: পুনশ্চের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের দোতালা বাড়িটি ‘উদীচী’। যখন পুনশ্চও আর কবির মনে ধরল না, তখন তৈরি হল উদীচী। যথার্থ কবির শেষ বেলাকার বাড়ি। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে কবির জন্মদিনে গৃহপ্রবেশ হয়। প্রথমে চারটি থামের উপর দোতালায় একটি ঘর ও তার সঙ্গে একটি বারান্দা তৈরি হয়েছিল। ছবি: জাগো নিউজ
-
পুনশ্চ: কবি কখনো এক জায়গায় বেশিদিন থাকতে পারতেন না। তার ভিতরের কবি মন কিছুদিনের মধ্যেই পরিচিত ঘর-দুয়ারে ক্লান্ত হয়ে ছটফট করে উঠতো- ‘হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে’। তাই শ্যামলীর পূর্বদিকে ‘পুনশ্চ’ বাড়িটি গড়ে ওঠে, কবিরই ইচ্ছেতে।
-
চোখজুড়ানো রবীন্দ্র স্মৃতি। ছবি: জাগো নিউজ