ঘূর্ণিঝড় আম্ফান কিভাবে এলো?
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের খবরেই সে ঝড় নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। এবার জেনে নিন কীভাবে এলো ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
-
২০২০ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়বে আম্ফান। আগামী বুধবার বিকেলের দিকে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ায় এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে এই সুপার সাইক্লোন। আম্ফান নামকরণটি করেছে থাইল্যান্ড। কিন্তু ২০২০ সালে আছড়ে পড়লেও আম্ফানের নামকরণ হয়েছিল ১৬ বছর আগে ২০০৪ সালে।
-
ক্রান্তীয় অঞ্চলের আটটি দেশ প্রথমবার ২০০৪ সালে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ৬৪টি নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেই তালিকার শেষ নামটি ছিল আম্ফান।
-
প্রথম তালিকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবারও একটি নতুন নামের তালিকা তৈরি হয়েছে। এবারের তালিকায় ১৩টি দেশ মিলিয়ে ১৬৯টি নাম দিয়েছে।
-
এই ১৩টি সদস্য দেশের মধ্যে থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম পূর্বাভাস জারি করার জন্য ৬টি আঞ্চলিক আবহবিজ্ঞান কেন্দ্রকে বেছে নেয়া হয়েছে। তার মধ্য ভারতীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগও রয়েছে। কারণ গত কয়েক বছরে ভারতীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগ বার বারই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস এবং তার গতিবিধির সঠিক পূর্বাভাস দিয়ে এসেছে।
-
শনিবার ভারতের দিঘার থেকে প্রায় ১২২০ কিলোমিটার দূরে ছিল এই ঝড়ের কেন্দ্রস্থল। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের উপর আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার থাকতে পারে, যা পরবর্তীতে ৮৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
-
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মলদ্বীপ, মায়ানমার এবং ওমান প্রাথমিকভাবে এই আটটি দেশ বঙ্গোপসাগরের উপর ঘণীভূত ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করত। এই আটটি দেশের সঙ্গে এবার যোগ দিয়েছে ইরান, সৌদি আরব, কাতার, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।