চীনের প্রেসিডেন্টকে যে স্পেশাল খাবার দিয়েছিল ভারত
চীনা প্রেসিডেন্ট দেড় দিনের বেসরকারি সফরে ভারতে এসেছিলেন। সেই সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যবস্থা ছিল রাজকীয় অভ্যর্থনার। শি জিংপিংয়ের জন্য ছিল রকমারি খাবারদাবারের ব্যবস্থাও। ছিল আমিষ ও নিরামিষের নানা পদ। কেমন ছিল সেই মেনু দেখে নেয়া যাক।
-
থাক্কালি রসম: শুরুতেই ছিল দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় এই পদ। রসম ছাড়া দক্ষিণী থালি একেবারেই অসম্পূর্ণ। টমেটো পিউরির সঙ্গে দক্ষিণী মশলার যুগলবন্দিতে তৈরি হয় এই রেসিপি।
-
মালাবার লবস্টার: লবস্টারের সঙ্গে এই রেসিপি মূলত তৈরি করা হয় নারকেলের দুধ দিয়ে। কেরালার নানান মশলার সঙ্গে নারকেলের দারুণ মেলবন্ধনে জমে ওঠে এই পদ। এই পদটিই ছিল মহাভোজ থালির অন্যতম মূল আকর্ষণ।
-
কোরি কেম্পু: থালির অনেক লোভনীয় পদের মধ্যে অন্যতম চিকেনের এই সুস্বাদু পদটি। দই, কাঁচালঙ্কা আর সামান্য কিছু মশলার সঙ্গে সেদ্ধ করা চিকেন স্ট্রিপস্ টস করে নিলেই তৈরি এই দক্ষিণী পদ।
-
মটন উলারথিয়াডু: জিনপিংয়ের জন্য পরিবেশিত রাজকীয় থালির অন্যতম সেরা আকর্ষণ ছিল মাংসের এই জিভে জল আনা পদটি। এই রান্নায় টুকরো করে কাটা মটন বিভিন্ন মশলার সঙ্গে কষিয়ে জল নয় নারকেলের দুধ দিয়ে সেদ্ধ করা হয়। তাতেই এর স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
-
কারুভিপিল্লাই মিন ভারুভাল: নাম শুনে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। মারাঠী তাওয়া মাচ্ছির দক্ষিণী সংস্করণ বলা যায় এই পদকে। কারিপাতার ফ্লেভার এই মাছের রেসিপির স্বাদ বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।
-
থানজাভুর কোজহি কারি: তামিলনাড়ুর তানজোর অঞ্চলের জনপ্রিয় এই চিকেন কারি পরিবেশন করা হয় চীনা প্রেসিডেন্টের রাজকীয় ভোজের সেই থালিতে।
-
এরাচি ঘেট্টি কোজাম্বু: থালিতে ছিল মটনের এই রেসিপিও। শুকনো ধনের স্বাদ ও গন্ধ এই রেসিপির মধ্যে বেশ প্রখর। কিউব করে কাটা মটনের সঙ্গে নানা দক্ষিণী মশলার সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় মশলাদার এই মটন গ্রেভি।
-
বিটরুট গনগুরা চপ: স্টার্টার হিসেবে থালিতে পরিবেশন করা হয় বিট আর কেনাফ পাতার এই অভিনব চপ। দক্ষিণ ভারতের নানা মশলা এই চপের স্বাদকে বহু গুণ বাড়িয়েছে। ঝাল-মিষ্টি এই চপ থালিতে এনেছে এক অন্য মাত্রা।
-
পাচা সুনডাকাই এরিচা কোজাম্বু: থালিতে নিরামিষ পদের মধ্যে ছিল কড়াইশুটির অভিনব এই তরকারি। টক মিষ্টি এই তরকারিটিতে হলুদ ও গুড়ের বেশ তীব্র ফ্লেভার তার স্বাদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে।
-
আর্চাভিত্তা সম্বর: সব রকম সবজি সহযোগে তৈরি এই সম্বর মহাভোজের থালিতে পরিবেশিত আরেকটি পদ। সম্বর মশলার স্বাদ ও গন্ধই এই পদে যোগ করে এক আলাদা মাত্রা।
-
মামসাম বিরিয়ানি: অন্ধ্রের এই বিরিয়ানিও বাদ পড়েনি শি জিনপিংয়ের রাজকীয় ভুরিভোজ থেকে। লম্বা দানার বাসমতী চাল আর নরম তুলতুলে মাংস বেশ মন কেড়েছে জিনপিংয়ের।
-
আডা প্রধামন: চাল, গুড় আর নারকেলের দুধের এই পায়েস ছিল একেবারে শেষ পাতে।
-
কাভানারাসি হালুয়া: কেবল পায়েসই নয়, শেষ পাতে ছিল এক বিশেষ হালুয়া। চালের এই হালুয়া চেখে দেখতে ভোলেননি জিনপিং।
-
মুক্কানি আইসক্রিম: থালির একেবারে শেষ পদ ছিল এই আইসক্রিম। যার স্বাদ ছিল অতুলনীয়।