হ্যালোইন উৎসবকে কোন দেশে কী বলে ও যেভাবে পালন করে
লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হ্যালোইন উদযাপনের রীতি আলাদা আলাদা। স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী বদলে যায় হ্যালোইন পালনের রীতি। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পৃথিবীর কোন প্রান্তে কীভাবে পালিত হয় হ্যালোইন বা ‘অল সোলস ডে’।
-
অস্ট্রিয়া : ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর টানা এক সপ্তাহ ‘অল সোলস উইক’ পালন করা হয় অস্ট্রিয়ায়। এই এক সপ্তাহ পূর্বপুরুষদের মৃত আত্মার উদ্দেশ্যে ঘরের টেবিলের ওপর খাবার, পানি রেখে ল্যাম্প জ্বেলে ঘুমোতে যান অস্ট্রিয়রা। এরপর ১ নভেম্বর সন্ধে বেলায় পালিত হয় অল সেন্টস ডে। এ দিন পরিবারের প্রিয়জনদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
-
জার্মানি : জার্মানরা বিশ্বাস করেন হ্যালোউইনের রাতে মৃত অতৃপ্ত আত্মারা নেমে পৃথিবীতে। তাই এই রাতে ছুরি, কাঁচি সব লুকিয়ে ফেলেন তারা। বার্লিনের হ্যালোইন কস্টিউম পার্টির খ্যাতি পৃথিবী জোড়া।
-
চেক রিপাবলিক : চেক রিপাবলিকের হ্যালোউইন উদযাপন কিন্তু অন্য দেশের থেকে একেবারেই আলাদা। বাড়ির ফায়ারপ্লেসের পাশে এ দিন রাতে পরিবারের প্রত্যেক মৃত সদস্যের জন্য চেয়ার সাজিয়ে রেখে ঘুমোতে যান সকলে। তাদের বিশ্বাস, হ্যালোইনের রাতে মৃত সদস্যদের আত্মারা নেমে এসে পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান।
-
লাতিন আমেরিকা : লাতিন আমেরিকায় ‘অল সোলস ডে’ পালিত হয় ‘ডে অফ দ্য ডেড’ নামে। মেক্সিকো ও স্পেনে নভেম্বর মাসের প্রথম দু’দিন পালিত হয় মৃতদের দিন। এই দু দিন মৃতদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রাদ্ধা জানানোর পরই সকলে মেতে ওঠেন উৎসবে। উৎসবের এই রীতি প্রায় হাজার বছরের প্রচীন।
-
জাপান : জাপানে এই উৎসব ‘ফেস্টিভ্যাল অফ হাঙ্গরি গোস্টস’। তবে জাপানে ভূতেদের উৎসব অক্টোবর-নভেম্বরে নয়, চলে গোটা গরমকাল জুড়েই। এই সময় সারা রাত আগুন জ্বালিয়ে রাখেন জাপানিরা। এই সময় সারি সারি লাল কাগজ বা কাচের তৈরি লণ্ঠনে সেজে ওঠে রাস্তার দু পাশ।
-
চীন : চীনা বছরের শেষে পালিত হয় ‘তেঙ্গ চেইহ’, যার অর্থ হল লণ্ঠন উৎসব। বিভিন্ন পশুপাখির আকারে তৈরি লাল, হলুদ, সবুজ কাগজ বা কাচ দিয়ে তৈরি করা হয় সেই লণ্ঠনগুলো। এই ‘তেঙ্গ চেইহ’ উৎসবের সময় জাপানের মতোই লণ্ঠন জ্বালিয়ে অশুভ শক্তি দূর করে চীনারা।