বায়ুদূষণ থেকে ফুসফুস ভালো রাখবে যেসব ভিটামিন
বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বায়ুদূষণের কারণে আমাদের ফুসফুসের অনেক সমস্যা হয়। এ থেকে ফুসফুস ভালো রাখতে কোন কোন ভিটামিন খেতে হবে তা জেনে নিন।
-
শীতে এলেই নানা কারণে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে তাপমাত্রা কমলেই বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর ছোট ছোট অত্যন্ত ক্ষতিকারক ধূলিকণা আমাদের শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে। এ কারণে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু এই অসুস্থতার সম্ভাবনা কমাতে পারে বেশ কয়েকটি ভিটামিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শীতে আপনার ডায়েটে রাখুন ভিটামিন এ, ডি ও সি। এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার ফুসফুসের কলা-কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচায়। শ্বাসকষ্টও কমায়। ছবি: সংগৃহীত
-
ভিটামিন ডি আপনার দাঁত ও হাড় মজবুত করার পাশাপাশি ফুসফুসে সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ভিটামিন ই। ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ-এর মাত্রা কমাতেও অত্যন্ত কার্যকরী ভিটামিন ডি। গবেষণা বলছে, শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি ও ফুসফুসের নানা রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে গেলে ফুসফুস আরও সতেজ থাকে এবং ভালোভাবে কাজ করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
ভিটামিন ডি-র মূল উৎস হলো সূর্যের আলো। তাই সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ ক্ষেত্রে টুনা, স্যামন বা এই ধরনের কিছু মাছ ও ডিমের কুসুমও খেতে পারেন আপনি। কারণ এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
ভিটামিন সি ফুসফুসে সংক্রমণ, ক্রনিক ডিজিজ থেকে আমাদের বাঁচায় ভিটামিন সি। পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ভিটামিন গ্রহণ করলে দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। ত্বক ভালো থাকে। সাধারণত ধূমপান বা দূষণের জেরে নানা ধরনের সূক্ষ্মকণা ফুসফুসে বাসা বাঁধে এবং ক্রমে শ্বাসযন্ত্রটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। ভিটামিন সি কিন্তু এই সূক্ষ্ম কণাগুলোর প্রবেশে ও বংশবিস্তারে বাধা দেয়। ফুসফুসের কলা ও কোষের ক্ষয় হওয়ার পরিমাণও কমায়। ছবি: সংগৃহীত
-
ভিটামিন এ- ফুসফুসের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ও প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন এ। শরীরে কোষের পুষ্টিতে সাহায্য করে এটি। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আরও মজবুত করে। তাই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খান । এটি শরীরের একাধিক কলা ও কোষের বৃদ্ধির জন্যও অপরিহার্য। তবে শরীরে খুব একটা বেশি মাত্রায় প্রয়োজন হয় না এই ভিটামিনের। ছবি: সংগৃহীত
-
মাছ, দুধ, ডিম, সুষম খাদ্য, গাজর, ব্রোকোলিসহ একাধিক ফল ও সবজিতে পাওয়া যায় এই ভিটামিন। তবে মাথায় রাখবেন বেশি মাত্রায় ভিটামিন এ আবার বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ-র জেরে লিভার বা হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। তাই যতটুকু দরকার, ততটাই ভিটামিন গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ছবি: সংগৃহীত