যেভাবে হাঁটলে কমবে মৃত্যুঝুঁকি

সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে নিয়মিত ৭ হাজার কদম হাঁটলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন ৮ হাজার কদম হাঁটেন, তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি যারা তুলনায় কম হাজার পা হাঁটেন, তাঁদের থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে মৃত্যুর ঝুঁকি, সম্প্রতি জেএএমএ (জামা) প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি শারীরিক দিক দিয়ে সক্রিয় থাকেন আর প্রতিদিন ৭ হাজার কদম হাঁটেন, তাহলে তার মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ থেকে ৭০ % কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত

করোনারি রিস্ক ডেভেলপমেন্ট-এর অংশ হিসেবে আমেরিকার ৪টি রাজ্য থেকে প্রায় ২ হাজার ১১০ জনের উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ৩৮ থেকে ৫০-এর মধ্যে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০৫ জন মহিলা এবং ৮৮৮ মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। ছবি: সংগৃহীত

ইয়োশিহারা ২০০৫-০৬-এর মধ্যে করা এই গবেষণার অংশগ্রহণকারীরা ৭ দিন ধরে অ্যাক্সিলেরোমিটার পরে ছিলেন। তাদের গড় পদক্ষেপের হিসেব রাখছিলেন। শুধুমাত্র ঘুমাবার সময় বা এমন কোনো কাজ, যাতে যন্ত্রটি ভিজে যেতে পারে, সেই সময় এই যন্ত্রটি খুলে রেখেছিলেন। তবে গবেষকেরা এই গবেষণার ১০ বছর ৮ মাস পরে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা নিয়ে পর্যালোচনা করতে যোগাযোগ করেন। ছবি: সংগৃহীত

এই সময়ের মধ্যে ৭২ জন অর্থাৎ ৩.৪% অংশগ্রহণকারী মারা যান। ৩টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছিল অংশগ্রহণকারীদের যেমন, কম- যারা প্রতিদিন ৭ হাজারের কম পা হেঁটেছেন মাঝারি- যারা প্রতিদিন ৭ হাজার- ৯ হাজার ৯৯৯ পা হেঁটেছেন উচ্চ- যারা প্রতিদিন ১০ হাজার বা তার বেশি পা হেঁটেছেন। ছবি: সংগৃহীত

এর পাশাপাশি গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের হাঁটার গড় গতিবেগের হিসেব রেখেছিলেন। যে কোনো ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রতি মিনিটে অংশগ্রহণকারীরা সবচেয়ে বেশি কত সংখ্যক পা হাঁটছেন, তার হিসেব রাখা হয়েছিল। প্রতিদিন তারা ১০০ পা হাঁটতে এক মিনিট বা তার বেশি সময় নিচ্ছেন কি না, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা ধূমপান করেন কি না, তাদের ওজন, কোলেস্টেরলের পরিমাণ, না খাওয়া অবস্থায় গ্লুকোজের মাত্রা, মদ্যপানের অভ্যাস, রক্তচাপ, কোনো ওষুধ নিয়মিত নিতে হচ্ছে কি না, হৃদপিন্ড সংক্রান্ত কোনো অসুখ রয়েছে কি না, এরকম বহু তথ্য নেওয়া হয়। গবেষকের দলটি দেখেন যে, যারা প্রতিদিন ৭ হাজার বা তার বেশি পা হেঁটেছেন, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০-৭০% কমে গিয়েছে, যারা প্রতিদিন ৭ হাজার পা কম হেঁটেছেন তাঁদের চেয়ে। ছবি: সংগৃহীত

সিডিসি-র মতে শরীরচর্চার উপকারিতা শরীরচর্চা আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাঁটার মতো শরীরচর্চার উপকারিতা হলো হাড় ও পেশি শক্ত করে। হৃদপিন্ডজনিত সমস্যা ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। বøাডার, ব্রেস্ট, কোলোনের মতো সাধারণ ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ছবি: সংগৃহীত