মানুষ কেন রেগে যায়?
রাগ মানুষের অন্যতম একটি অনুভূতি। তবে বেশি রেগে যাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে মানুষের সাথে সম্পর্কও ভেঙ্গে যায়। জেনে নিন যেসব কারণে আমরা সাধারণত রেগে যাই। বিষয়টি জানতে পারলে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
-
আমাদের প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রেই একটা নির্দিষ্ট সীমারখো থাকা উচিত। অনেক সময় যেটা আমরা বজায় রাখি না। তার ফলে অন্যেরা ভেবে নেন যে, কোনো কাজেই আমরা কখনোই না বলব না। তাই তারা সুযোগ বুঝে আমাদের উপর সহজেই একটার পর একটা কাজের বোঝা চাপিয়ে দিতে থাকেন। আর যেহেতু আমরা কোনো কাজের ক্ষেত্রেই ‘না’ বলতে পারি না, তাই তখনই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রতিটি মানুষই তাদের কাছের মানুষদের থেকে সময় আর ভালোবাসা চায়। কিন্তু সেটা না-পেলেই নিজেকে অবহেলিত বলেই মনে হতে থাকে। আবার অনেক সময় আমরা কাছের মানুষদের কাছে নিজেদের ভাবনা-চিন্তা অথবা মতামত শেয়ার করি, কিন্তু দেখা গেল, সেই মানুষগুলো তার কোনো পরোয়াই করল না। সেই সময় আমাদের রাগ হতে বাধ্য। ছবি: সংগৃহীত
-
ধরা যাক, কেউ খুবই বদমেজাজি স্বভাবের। আবার সব বিষয়কেই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। কিন্তু নিজের মেজাজি স্বভাবের কারণে সব কিছুর উপর ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। ফলে মন খারাপ হয়ে যায় এবং সেই মানুষটা খুব সহজেই রেগে যান। ছবি: সংগৃহীত
-
আমরা অনেকেই বেশ চাপা স্বভাবের হয়ে থাকি। আসলে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি, আনন্দ-দুঃখ কারো সামনে খোলাখুলি প্রকাশ করতে পারি না। তার ফলে মনে রাগের উদ্রেক হতেই পারে। আসলে একটা সময়ে কোথাও-না-কোথাও নিজেদের আবেগ-অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে ভিতরে ভিতরে গুমরে থাকতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা কোনো কিছু স্পষ্টভাবে পরীক্ষা করার ক্ষমতা হারাই। সেই সময় আমরা সহজেই প্রচণ্ড ভেঙে পড়ি এবং রাগে হিংসাত্মক হয়ে পড়ি। ছবি: সংগৃহীত
-
মানসিক ও শারীরিক কারণেও আমরা কখনো কখনো মেজাজ হারাতে পারি। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার, বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার, প্রিমেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিজঅর্ডার-সহ আরও নানা কারণে মেজাজ খারাপ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত