বয়স ৩০ হলে কী খাবেন কী খাবেন না
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা সুস্বাস্থ্যের জন্য সব সময় চেষ্টা করেন। বয়স কম থাকতেই স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা উচিত। এবার জেনে নিন বয়স তিরিশের কোঠায় এলে ডায়েটে যেসব পরিবর্তন আনতে হবে।
-
বয়স যদি ইতিমধ্যে তিরিশের ঘরে পৌঁছে যায়, শরীরের অভ্যন্তরীণ নিয়মে কিছু বদল আসাটাই স্বাভাবিক। আর এই বদলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গেলে লাইফস্টাইল, বিশেষ করে রোজকার ডায়েটটাকেও একটু বদলে নিতে হবে আমাদের। না হলে পরিপাকে সমস্যা, হজম না হওয়া লেগেই থাকবে।
-
শরীর ফিট রাখতে চিকিৎসকরা পরামর্শ প্রায়শই পরামর্শ দেন সুপারফুড খাওয়ার। ঘাবড়াবেন না, সুপারফুড খুব দুর্লভ বা দামি কোনও খাবার নয়- এ শুধু এক পরিভাষা। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যালস, মিনারালস এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখে সুপারহিরোর মতো, আদতে তা-ই হল সুপারফুড।
-
উল্লেখ করা হল, তেমনই কিছু সুপারফুডের, যা আপনি তিরিশ থেকে মধ্য পঞ্চাশের বয়সের কোঠায় নিয়মিত খেয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন। ১.সবুজ সবজি-সবুজ সবজি শরীরের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পালং, পার্সলে, স্পিরুলিনা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দেহ ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং আমাদের এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
-
২. উদ্ভিজ প্রোটিন-বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আমাদের ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো দরকার। তবে তার জন্য প্রাণিজ প্রোটিন, মানে মাছ-মাংসের দিকে বেশি না যাওয়াই ভালো। কেন না, চিকিৎসকেরা বলেন উদ্ভিজ প্রোটিন হজম করা যেমন সহজ, তেমনই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে না। বিশেষ করে যাদের দুগ্ধজাত দ্রব্যে সমস্যা হয়, তারা উদ্ভিজ প্রোটিন খেতে পারেন। নানারকম শস্যদানা, ডাল, সয়াবিন থেকে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়।
-
৩. উদ্ভিজ ভিটামিন- ভিটামিন সি এবং ডি আমাদের ইমিউনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে থাকে। এতে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যালও পাওয়া যায়। ৪. বীজ এবং শস্যদানা- ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন ভারতীয় বিভিন্ন শস্যদানা এবং বীজের খাদ্যগুণ না কি কয়েকশো বছর ধরে একই রয়েছে। রোজকার খাবারের মেনুতে এই সব রাখলে হার্ট ভাল থাকে। কেন না, এই সব বীজে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফ্যাটি-আসিড থাকে। তার জন্য ফ্ল্যাকসাসিড, সিয়াসিড, সূর্যমুখির বীজ, কুমড়োর বীজ, নিয়মিত খেতে হবে। স্যালাড কিম্বা স্মুদি বানিয়ে খেলেও এই সব বীজ সমান কাজে দেবে।