খাবার অপচয় বন্ধ করবেন যেভাবে
পৃথিবীর অনেক দেশেই খাদ্য সংকট রয়েছে। এর মাঝেই অনেক দেশের মানুষ লাগামহীন খাবারের অপচয় করছে। তবে কোনো কোনো দেশে সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণেও খাদ্য অপচয় ঘটায়। এবার জেনে নিন প্রতিদিন খাবার অপচয় বন্ধ করবেন যেভাবে।
-
আপনার ঘরে কজন মানুষ, তারা কে কেমন খাদ্য খায়, প্রত্যেকের জন্য কতটা খাবার বরাদ্দ হবে এই তালিকাটা আগে থেকে করা থাকা মানে অর্ধেক কাজ সারা। আপনি সহজেই বাঁচাতে পারবেন অপচয়।
-
যে কোনো খাবার, যেমন সবজি স্টোর করার আলাদা আলাদা নিয়ম হয়। অপচয় বাঁচাতে এই নিয়মগুলো জানা জরুরি। যেমন ধরা যাক আলু,পেয়াজ, রসুন কখনো ফ্রিজে রাখতে নেই। ডিম ফ্রিজের ডোরেও রাখতে নেই। কলা বা টম্যাটোর মতো এথিলিন রয়েছে এমন ফল-সবজিও আলাদা রাখতে হয়।
-
ঘরে দুএকদিন ফল থাকলে তার তাজাভাব কমে আসতে পারে। তার মানেই তা ফেলে দিতে হবে এমন কিন্তু নয়। মনে রাখবেন, ঝা চকচকে ফল সবজি ছবিতেই মানায়। বাস্তবে তেমন হয় না। তবে পোকায় খেয়েছে এমন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক সময়েই জিনিস অগোছালো থাকে বলে বহু জিনিস সময় মতো খুঁজে পাওয়া যায় না। আড়ালে আবডালে থাকা জিনিস ধীরে ধীরে এক্সপায়ারি ডেট পার করে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায়।
-
বহু ফলকেই জেলি বা আচারে পরিণত করা যায়। এভাবেই যে কোনো খাবারকেই সংরক্ষণ করার চেষ্টা করুন। অপচয় অনেকটাই বাঁচবে।
-
রাতের ডিনারে বেঁচে যাওয়া খাবার পরদিন একটা মিল হয়ে যেতে পারে। যে কোনো ফল-সবজি শুকিয়ে তাকে নতুনভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে অপচয়ই কমে না। বরং পুষ্টিরও বন্দোবস্ত হয়।