বর্ষায় চুলের সমস্যা দূর করার সহজ উপায়
এখন চলছে বর্ষাকাল। বর্ষাকাল মানেই অনেকের চুলের বাজে অবস্থা তৈরি হওয়ার সময়। চুল তেলচিটে হয়ে যাওয়া থেকে চুল পড়ে যাওয়া। চুলে দেখা দেয় নানা সমস্যা! মোকাবিলা করতে অনেকেই নানারকম কসমেটিক তেল, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করেন। তবে এবার জেনে নিন এই বর্ষায় চুলের সমস্যা দূর করবেন যেভাবে।
-
বাজার থেকে আনা এই সমস্ত প্রডাক্টে রয়েছে হাজার রকমের কেমিক্যাল, অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে যা চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক! কাজেই বর্ষাকালে সহজ, ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন করুন।
-
কলা, মধু আর নারকেল তেলের প্যাক ব্যবহার করুন। একটা গোটা পাকা কলা চটকে তার সঙ্গে ২ চামচ মধু, ১ কাপ কাঁচা দুধ আর ২ চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মেখে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করে দেখুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।
-
চুল তেলচিটে হয়ে গেলে ২-৩টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ কাপ দুধ আর ১ কাপ টক দই মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাক মাথায় মেখে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করুন।
-
চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে ওটস, নারকেলের দুধ আর মধু মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। এর জন্য ১ চামচ ওটসের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ কাপ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়ায় ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে উষ্ণ জলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
-
কাঠবাদামে রয়েছে বায়োটিন ও ম্যাগনেসিয়াম! কাজেই নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে চুল ঘন হয়! আখরোটে রয়েছে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি- সেভেন চা চুল পড়া কমায়, চুলের ফলিকর বা গোড়া মজবুত করে! পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
-
টাক সমস্যার সমাধানে মহৌষধ ওটস। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, জিংক, ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি যা চুল পড়া আটকায়। ডিম ও দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে বায়োটিন (ভিটামিন বি সেভেন) যা চুলের বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী। বিশেষ করে যাদের চুল পড়া শুরু হয়েছে, তারা খাবারের তালিকায় ডিমের সঙ্গে দুধ, দই, পনিরও রাখুন। এই সমস্ত খাবারে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি-টুয়েল্ভ, আয়রন, জিঙ্ক ও ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুল পড়া আটকায়।