ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীরের যেসব উপকার হয়
যারা ধূমপান করেন তাদের শরীরের নানা ধরণের রোগে ভোগেন। শুধু তাই তাই ধূমপায়ীরা নিজের ক্ষতির পাশপাশি অন্যেরও ক্ষতি করেন। ধূমপান ছেড়ে দিলে দ্রুত ৬টি জাদুকরী উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন সে সম্পর্কে।
-
মাত্র ২০ মিনিট বিরতির পর: শেষ ধূমপানের মাত্র ২০ মিনিট পরেই শরীরের রক্তচাপ ও নাড়ির গতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ধূমপানের সময় সিগারেটের নিকোটিন শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখার ফলে যতটুকু বেড়ে গিয়েছিলো তা আবার নামিয়ে নিয়ে আসে।
-
১২ ঘণ্টা ধূমপান না করলে যা হয়: সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন থেকে বের হওয়া যে বিষাক্ত গ্যাস শরীর গ্রহণ করেছিলো, তা ১২ ঘণ্টা পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে আসে। এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে কারণ ধূমপান করার সময় রক্তে অক্সিজেন যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে।
-
সিগারেট ছাড়া দ্বিতীয়দিন: ধূমপানের কারণে স্বাদ ও গন্ধ নেয়ার যে ক্ষমতা কমে গিয়েছিলো, তা ধূমপান বন্ধ করার মাত্র দুইদিন পরেই বাড়তে শুরু করে।
-
ধূমপান বন্ধের তৃতীয়দিন: ধূমপান থেকে বিরত থাকার তিনদিন পরে থেকেই বুকের ভেতরটা হালকা মনে হয় এবং শ্বাস ক্রিয়া সহজ হয়, কারণ তখন আর শরীরের ভেতরে নিকোটিন থাকে না। আর সে কারণেই ধূমপান না করার লক্ষণগুলো ভালোভাবে ধরা পড়ে বা বোঝা যায়। তখন মাথাব্যথা, বমিভাব, প্রচণ্ড ক্ষুধা পাওয়া, হতাশা বা আতঙ্কভাব হয়ে থাকে।
-
ধূমপান বন্ধের কয়েক মাস পর: ধূমপান বাদ দেয়ার কয়েকমাস পরেই দেখা যায় শরীরে রক্ত চলাচল অনেক ভালোভাবে হচ্ছে। আর আগের তুলনায় ফুসফুস শতকরা ৩০ ভাগ বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে এবং কাশিভাবও কমতে শুরু করে।
-
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার এক বছর, ১০ বছর বা ১৫ বছর পর: ধূমপান ছেড়ে দেয়ার এক বছর পর থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। তাছাড়া দশ বছর ধূমপান না করলে একজন ধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকির তুলনায় অর্ধেক কমে যায়।