কর্পুর ব্যবহারের ৭ আশ্চর্য উপকার
কর্পুরের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এটি নিয়ম জেনে ব্যবহার করলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এবার জেনে নিন কর্পুরের আশ্চর্য ৭ উপকার সম্পর্কে।
-
আপনার ঘরে যদি পিঁপড়ের উপদ্রব বাড়ে তাহলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বাজারের বিভিন্ন কীটনাশক অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু এর ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বাড়ির শিশু ও বয়ষ্কদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই ক্ষতিকর কীটনাশকের পরিবর্তে পানি সঙ্গে কর্পুর মিশিয়ে ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। ঘন্ধে পিঁপড়েরা ঘর ছেড়ে পালাবে।
-
ছারপোকা তাড়াতে কর্পুর অত্যন্ত কার্যকরী। ছারপোকার সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে বিছানার চাদর ধুয়ে তোষক, ম্যাট্রেস রোদে দিন। এরপর একটি বড় কর্পুরের টুকরো কাপড়ে মুড়ে বিছানা ও ম্যাট্রেসের মাঝামাঝি রেখে দিন। এতে বিছানা ছারপোকার উপদ্রব মুক্ত হবে।
-
আপনার যদি ত্বকে চুলকানি ও র্যাশের সমস্যা হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কর্পুর অত্যন্ত কার্যকরী। এক টুকরো ভোজ্য কর্পুর নিন এবং সামান্য জলের সঙ্গে মেশান। আক্রান্ত স্থানটিতে এই দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলকানি ও র্যাশের সমস্যা কমে যাবে। কিন্তু কখনোই কাটা বা ক্ষত স্থানে কর্পুর ব্যবহার করবেন না। কারণ কর্পুর রক্তের সঙ্গে মিশে গেলে শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।
-
কর্পুরের ট্যাবলেট ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। এটি শুধু মশাই তাড়াবে না, কাজ করবে রুম ফ্রেশনারেরও।
-
শিশুর বুকে কফ জমে গেলে, সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে সেই সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে কর্পুর। সরষের তেল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে সামান্য কৃত্রিম কর্পুর মিশিয়ে সামান্য গরম করে নিন। উষ্ণ অবস্থায় এই তেলের মিশ্রণটি শিশুর বুকে ও পিঠে মালিশ করুন। দ্রুত সমস্যা কমে যাবে।
-
কয়েক ফোঁটা কর্পুর এসেনশিয়াল অয়েল অন্য কোনো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে মালিশ করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা আমন্ড তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। উপকার পাবেন।
-
নিয়মিত মাথায় যে তেল ব্যবহার করেন তার সঙ্গে কর্পুর এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল ঝরার পরিমাণ কমে যায়। চুলে শ্যাম্পু করার আগে এই তেলের মিশ্রণ মাথার তালুতে ও চুলে মাখলে এটি খুশকির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করবে।